গাংনীতে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের আনাগোনা : তরুণ-তরুণীদের পছন্দের পোষাকে ডিজিটালের প্রভাব

 

মাজেদুল হক মানিক: গেলো ঈদে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের নায়িকাদের নামের পোশাকের বেশ কদর ছিলো। জল নূপুর, কিরণ মালা, পাখি আর ঝিলিক থ্রি পিস ছিলো তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে। অনেকে আবার আত্মহত্যাও করেছিলো ওই পোশাকের জন্য। সময় বদলেছে। পছন্দের তালিকারও বেশ পরিবর্তন ঘটেছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার যুগে তথ্য প্রযুক্তির বিস্তার ঘটেছে জন জীবনে। তাইতো ঈদ পোশাকে পড়েছে ডিজিটাল প্রভাব। তরুণীদের পছন্দের তালিকায় এসেছে দেশী ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও থ্রি জি থ্রি পিসের। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ি দোকানীরাও আমদানী করেছে এ পোশাক। মেহেরপুর গাংনী শহরের মার্কেকগুলো ঘুরে পাওয়া গেছে এমনি বিচিত্র তথ্য।

পোষাক বিক্রেতারা জানান, এবার ঈদে তরুণীরা আর ভারতীয় টিভি চ্যানেলের নায়িকাদের পরিধেয় পোশাক চাইছেন না। তথ্য প্রযুক্তির ছাপ লেগেছে দৈনন্দিন জিবনে। ফেসবুক মেসেঞ্জারে তরুণ-তরুণীরা যেমন আকৃষ্ট হয়েছে তেমনি রুচীরও পরিবর্তন ঘটেছে। তরুণীদের পছন্দের তালিকায় এসেছে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার আর থ্রি জি নকশার থ্রি পিসের। প্রকার ভেদে এ অনুষঙ্গটি পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার টাকা থেকে  ৫ হাজার টাকায়। হালকা কিংবা গাঢ় যে রং ই হোক না কেন দাম একই। তবে কাশ্মিরী বাহুবলিও বিক্রি হচ্ছে। সবে রোজার শুরু তাই ক্রেতাদের সমাগম কম। রমজানের মাঝামাঝি বেচাবিক্রি বেড়ে যাবে বলেও জানান বিক্রেতারা।

শাড়ী বিক্রেতারা জানান, তরুণীদের অন্যান্য থ্রি পিসের সাথে শেরওয়ানী ও থ্রি জির দিকেও বেশ টান রয়েছে। সূতি এ অনুষঙ্গের দাম এক হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। মধ্য বিত্তদের কাছে এ পোষাকটি বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন বেচাবিক্রি হচ্ছেও বেশি। লোন ও বুটিকের প্রতিও বেশ ঝোক রয়েছে ক্রেতাদের। দাম সাধ ও সাধ্যের মধ্যে। এক হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পোশাকটি। তবে রোজার শুরু তাই বিক্রির চেয়ে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। যারা মার্কেটে আসছেন তাদের অনেকেই শুধুমাত্র পছন্দ করে পরে আসবেন বলে ফিরে যাচ্ছেন।

শিশিরপাড়ার গৃহবধূ শারমীন বেগম ও তার দু মেয়ে এসেছিলেন ঈদের কেনা কাটা করতে। মেয়েদের জন্য কিনেছেন মেসেঞ্জার থ্রি পিচ। একই কথা জানালেন বামন্দি নিশিপুর থেকে আসা কলেজ ছাত্রী সাহেদা আক্তার । ভীড়ে পোশাক তৈরি ও তৈরি পোশাক পাওয়া ঝামেলা। এজন্যই আগে ভাগে অনুষঙ্গটি কিনেছেন। দামও নাগালের মধ্যে থাকায় বেশ খুশি হয়েছেন তিনি।

দোকানীদের সাথে আলাপ কালে জানা গেছে, রমজানের মাঝামাঝি ক্রেতাদের সমাগম হবে বেশি। যারা ঝামেলা এড়িয়ে কেনাকাটা করতে চান তারা এখনই কিনছেন। আবার অনেকেই ঘোরাঘুরি করে পছন্দের পোশাকটি দেখছেন আবার কেউ কেউ অর্ডার দিচ্ছেন পছন্দের পোশাকের।