খালেদার প্রস্তাব গণতন্ত্রের পথকে অবরুদ্ধ করবে : মেনন

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও জাতীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেছেন, খালেদা জিয়ার প্রস্তাব হাস্যকর। কারণ ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে উভয় নেত্রীই বিরূপ ও হাস্যকর মন্তব্য করেছেন। এছাড়া খালেদা জিয়ার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করা দরকার। খালেদা জিয়ার এ প্রস্তাব গণতন্ত্রের পথকে অবরুদ্ধ করবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, খালেদা জিয়ার জায়গা থেকে তিনি খুবই চমত্কার বক্তব্য দিয়েছেন। এ বক্তব্য সমাধানের দিকে এগুবে না। বক্তব্যে বিএনপি পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে এ বক্তব্য কতোটুকু সহায়ক হবে। এ বক্তব্যে রাজনীতিতে সমঝোতা আসবে না। তিনি বলেন, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের উপদেষ্টাদের ২০ জনের মধ্যে ৪ জন মারা গেছে। ৫ থেকে ৬ জন অবসরে। অন্যান্য উপদেষ্টারা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে হয় না।

গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা মনে করি খালেদা জিয়া নিরপেক্ষ সরকারের যে কথা বলেছেন তা আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি। দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা দরকার। তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা, কালো টাকা, মাফিয়া ও পেশী শক্তি পরিবর্তনের ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি। তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি না করারও আহ্বান জানান। তিনি উভয় নেত্রীকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, অন্যথায় এর দায়-দায়িত্ব উভয় নেত্রীকেই বহন করতে হবে। জাতীয় পার্টির (জেপির) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্য পুরো পাওয়ার পরই প্রেসিডিয়ামের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হবে।