কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার: রিজার্ভ চুরির পর গভর্নর ও দুই ডেপুটি গভর্নরের পরিবর্তনে কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্বস্তি দেখা গেলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র দাবি করেছেন, সব কাজ ‘স্বাভাবিকভাবেই’ চলছে। একসাথে এতো পরিবর্তনের পর গতকাল বুধবার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী পরিচালক থেকে নির্বাহী পরিচালক পর্যন্ত সব কর্মকর্তাদের মধ্যেই অস্বস্তি টের পাওয়া গেছে। মাঝে মাঝে নিজেদের মধ্যে নিচু স্বরে কথা বললেও কাউকে দেখলেই সতর্ক হয়ে যাচ্ছিলেন তারা।

একজন মহাব্যবস্থাপক বলেন, ৩৩ বছরের কর্মজীবনে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়িনি। হঠাৎ করেই যেন সব এলোমেলো হয়ে গেছে। আগেও গভর্নররা চলে গেছেন, কিন্তু সে পরিবেশ ছিলো আলাদা। আমরা আগে থেকেই জানতাম এই দিনে গভর্নর চলে যাবেন। এও জানতাম নতুন গভর্নর কে হচ্ছে। এবার কী হল?

এদিকে একটা দুর্ঘটনা (রিজার্ভ চুরি) ঘটেছে। সেটা কীভাবে কে ঘটিয়েছে, তাও আমরা জানি না। সবমিলিয়ে কর্মজীবনের সবচেয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বা সময় পার করছি। ১০ কোটি ডলার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হারানোর খবরটি গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে ঘটলেও ফিলিপিন্সের সংবাদপত্র ইনকোয়ারার-এ ওই মাসের শেষে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে তা প্রকাশ্যে আসে। ওই অর্থের মধ্যে ফিলিপিন্সে যাওয়া বড় অংশ পাচার হয়ে যাওয়ার পর দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল তদন্তে নামলে বেরিয়ে আসে যে ওই অর্থ ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের।

শুরুতে জানলেও ঘটনাটি চেপে রাখায় চাপের মধ্যে থাকা গভর্নর আতিউর রহমানকে মঙ্গলবার পদত্যাগপত্র দিয়ে সরে যেতে হয়, বরখাস্ত হন দুজন ডেপুটি গভর্নরও। একজন উপমহাব্যবস্থাপক বলেন, এতো বড় সঙ্কট আমি কখনও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দেখিনি। সহকারী পরিচালক একজন তরুণ কর্মকর্তা বলেন, একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। সবখানেই শুধু কানাঘুষা হচ্ছে। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না।