কুড়ুলগাছি ইউনিয়নে কর্মসৃজন কাজের শ্রমিকদের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন ইউপি সদস্য মাসুরা খাতুন

স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে অতি-দরিদ্রদের মজুরির টাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য অভিনব কৌশলে আতসাৎকৃত টাকা ফেরত দিলেন কুড়–লগাছি ইউনয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুরা খাতুন। প্রত্যেক লেবারের কাছ থেকে ১শ’ টাকা করে কেটে নিয়ে নিজের পকেটে ভরেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
জানা গেছে, সরকার হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজনের মধ্যদিয়ে সাহায্য দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। লেবার আব্দুর রশিদ অভিযোগ বলেছেন, আমার চেক নং ৩৪১১৮৯১১ যা চেকের পাতায় ৩ হাজার ২৫ টাকা লেখা। আমাকে দেয়া হয়েছে ২ হাজার ৯শ টাকা। ধান্যঘরা-দুর্গাপুর গ্রামের ৪০ দিনের ২য় পর্বের কাজ শেষ করি। শেষের ১৫ দিনের কাজের মজুরি বাবদ ৩ হাজার ২৫ টাকার চেক সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রদান করেন। গত সোমবার কার্পাসডাঙ্গা জনতা ব্যাংক শাখায় টাকা তুলতে গেলে, আগেভাগেই পিআইসি মাসুরা ব্যাংকে গিয়ে বসে থাকেন এবং ব্যাংকের দিন হাজিরা হিসেবে কাজ করে রবিউলের সাথে যুক্ত করে কৌশলে লেবারদের কাছ থেকে ১শ’ টাকা করে হাতিয়ে নেন। এ সময় লেবাররা কিছু বলার আগেই পিআইসি মাসুরা বলেন, বিভিন্ন খরচের অজুহাত দেখিয়ে টাকা কেটে নেয়।
এ বিষয়ে পিআইসি মাসুরা মেম্বার বলেন, আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না, আমার কোনো বক্তব্য নেই। কুড়–লগাছি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ এনামুল করিম ইনু বলেন, লেবারের টাকা কেটে নেয়ার বিষয়টি আমি শোনার সাথে সাথে ওই মেম্বার মাসুরা ও ব্যাংকের রবিউলকে লেবারদের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বলেছি। সেই দিনেই রাতে রবিউল ও মাসুরা টাকা ফিরে দিয়েছেন বলে আমাকে জানান।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা প্রকল্প সহকারী কর্মকর্তা নুরুজামানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভাব হয়নি।
কার্পাসডাঙ্গা জনতা ব্যাংকের ম্যানাজার বলেন, গত সোমবার আমি ব্যাংকে ছিলাম না তবে রবিউল ব্যাংকের কোনো লোক নয়। তিনি শুধু দিন হাজিরার কাজ করেন যদি তিনি কছিু করে থাকেন তা পিআইসি মাসুরার নির্দেশে করেছেন।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান বলেন, লেবারদের টাকা যদি কোনো ইউপি সদস্য কেটে নিয়ে থাকেন অবশ্যই প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।