কুষ্টিয়ায় অ্যানথ্রাক্স রোগে শিশুসহ ৮ জন আক্রান্ত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের গোবড়গাড়া গ্রামে অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীরা এ রোগে আক্রান্ত হয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে এ রোগের সংখ্যা। অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে এ রোগ দেখা দিলে এখন ওই গ্রামের অনেক বাড়িতেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে শিশুসহ অন্তত ৮ রোগী এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ঈদের দুদিন পর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোবরগাড়া গ্রামের নাহারুল ইসলামের একটি অসুস্থ গাভী গরু জবাই করা হয়।
ওই গরুর মাংস গ্রামের লোকজনের মাঝে বিক্রি করা হয়। এর ৩-৪ দিন পর থেকে যারা ওই গরুর মাংস খেয়েছে এবং মাংস নাড়াচাড়া করেছে তারা সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে জ্বর পরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখা দেয়। এভাবে ওই গ্রামের প্রায় বাড়িতে এখন অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ কেউ ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিলেও এখনও অনেকে চিকিৎসা না নিয়ে শরীরে রোগ বহন করে চলেছে। অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে মাহাবুল ইসলাম (৩৮) ও তার স্ত্রী, শিশু আশিক (৮) ও রিজভি (৯), জাহানারা খাতুন (৩৭) রাফুল ইসলাম (৪০) ও এনামুল (৩২) স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও তাদের শরীরে ঘা রয়ে গেছে।
গরুর মালিক নাহারুল ইসলাম জানান, ঈদের দু দিন পর তার পোষা গাভী গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। গ্রামের লোকজন গরুটি জবাই করে মাংস বিক্রয় করে দেয়। গরু জবাইয়ের ৪ দিন পর গ্রামের মানুষের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
তার অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে নাকি এই রোগ হয়েছে বলে জানান নাহারুল ইসলাম। গরু জবাইকারী এনামুল জানান, অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস নাড়াচাড়া করার কারণে তার শরীরের হাতে ও কপালে ঘা হয়েছে। ওষুধ খেয়েছি তাও সারছে না। এদিকে অ্যানথ্রাক্স রোগ নিয়ে এলাকার একটি প্রতারকচক্র গরুর মালিক নাহারুল ইসলাম ও গরু জবাইকারী এনামুলকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
তবে দৌলতপুর প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী নজরুল ইসলাম জানান, এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। গোবড়গাড়া গ্রামের পশুদের শরীরের অ্যানথ্রাক্স রোগের টিকা বা ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। যাতে করে এ রোগ যেনো অন্য কোনো পশুর শরীরে ছড়াতে না পারে।