কাশ্মীরে তীর্থযাত্রীদের বাসে জঙ্গি হামলায় ৭ জন নিহত

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারত শাসিত কাশ্মীরে তীর্থযাত্রীদের বহনকারী বাসে জঙ্গি হামলায় ৭ জন হিন্দু পূণ্যার্থী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জন নারী। কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার অমরনাথ তীর্থকেন্দ্র থেকে সোমবার রাতে বাসটি ফিরে আসার পথে এই হামলার শিকার হয়। এই ঘটনায় আরো ২০ তীর্থযাত্রী আহত হয়েছে। হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া তীর্থ যাত্রীরা বলছেন তারা সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে আছেন।

বাসের মালিক হর্ষ দেশাই বলেন, আমি বাসের সামনে পাঁচ-ছয়জন বন্দুকধারীকে দেখেছি। তারা নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে এবং বাস লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছে। আমি চালককে বলেছি না থামাতে এবং চালিয়ে যেতে। শেষ পর্যন্ত বাসটি কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি সেনা টহল দলের সামনে গিয়ে থামে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাসের মধ্যে সাতজন মৃত পড়ে আছেন। যাত্রীরা বলছেন, বাস চালক যদি সাহসিকতার সাথে চালিয়ে না যেতেন তাহলে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতো।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক টুইট বার্তায় বলেন, এ হামলায় তিনি ভীষণ মর্মাহত। ভারত কখনো এ ধরনের হামলায় মনোবল হারাবে না। এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ আরও অনেক দেশ। ভারত সন্দেহ করছে, এই হামলায় পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা জড়িত। তবে লস্কর এই হামলার কথা অস্বীকার করে উল্টো তার নিন্দা জানিয়েছে।

সাহসী বাসচালক: তিন দিক থেকে যখন এলোপাথাড়ি গুলি ছুটে আসছিলো, তিনি তখন শরীরটাকে সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে শক্ত হাতে স্টিয়ারিং ধরে ছিলেন। আর ডান পা আরও জোরে চেপে বসিয়ে দিচ্ছিলেন অ্যাক্সেলেটরে। যাই ঘটে যাক, বাস তিনি থামাবেন না। বাসের ভেতর তখন গুলিতে আহতদের গোঙানি, আতঙ্কিতদের সমবেত চিত্কার আর অবিরাম গুলির শব্দ। এ ভাবেই অন্ধকার রাস্তায় চালক শেখ সেলিম গফুর এগিয়ে গিয়েছিলেন কয়েক কিলোমিটার। তার এই দৃঢ়তার জেরে জঙ্গি হামলার কবলে পড়েও বেঁচে গিয়েছে বহু প্রাণ। অনেকের প্রাণ বাঁচিয়ে তিনি এখন কার্যত ‘হিরো’। কিন্তু সেলিমের আক্ষেপ তিনি কেন সবাইকে বাঁচাতে পারলেন না।