কালীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের হামলায় এক ব্যক্তির পঙ্গু জীবনযাপন

 

ঝিনাইদহ অফিস : এক হাতে কন্নি, আরেক হাতে কড়াই নিয়ে কাজ করতেন। পাকা ঘরের দেয়ালে দৃষ্টিনন্দন নকশাও তুলতেন। সন্ত্রাসীরা একজনকে মারতে এসে ভুল করে কুপিয়ে তাঁর দুটি হাত কেটে ফেলে। এর পর থেকে মানুষটি পঙ্গু ও বেকার জীবন যাপন করছেন।মানুষটির নাম আবদুস সালাম (৩২)। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে তিনি। বসির আহম্মদ নামে তাঁর আরেক ভাই আছেন। বাবা-মা, ভাই, স্ত্রী আর দুই মেয়েকে নিয়ে সালামের পরিবার। তাঁদের চাষযোগ্য কোনো জমি নেই। পড়ালেখাও করেননি সালাম। ১২-১৩ বছর বয়স থেকেই সালাম জোগালির কাজ শুরু করেন। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে আস্তে আস্তে রাজমিস্ত্রি হন।

তবে সালামের জীবনকে তছনছ করে দেওয়া ঘটনাটি ঘটে ২০০৮ সালের ২৬ এপ্রিল। ওই দিন কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপর পাড়ায় বেরিয়েছিলেন জোগালির খোঁজে। সেখান থেকে ফেরার পথে জনৈক মুক্তার হোসেনের দোকানে টেলিভিশন দেখতে দাঁড়িয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আট-নয়জন সন্ত্রাসী সেখানে হামলা চালায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা সালামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সালামের দুটি হাতই কেটে ফেলে সন্ত্রাসীরা। প্রথমে তাঁকে ঝিনাইদহ এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আবদুস সালাম বলেন, ওই দোকানে বসে ছিলেন এলাকার আমির হোসেন। সন্ত্রাসীরা তাঁকে মারতে এসে ভুল করে আমাকে মারে। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসার পেছনে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গ্রামের মানুষ কিছু সাহায্য করেছে। কিছু ধার-দেনা করে চালিয়েছেন। এখন কৃত্রিম হাত লাগাতে চান। কিন্তু সে সামর্থ্য কই তাঁর!