কার্যাদেশ ছাড়াই গাংনী নিপোট সেন্টার ভবন সংস্কার ॥ অনিয়মের অভিযোগ

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী হাসপাতালের মধ্যে অবস্থিত আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (নিপোট) ভবনের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ভবনটি পুনঃ রং করার কার্যাদেশ দেয়া হলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরসি প্যাড (জলছাদ) কাজ করছে। এতে নিম্নমানের বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিন ভবনে গিয়ে দেখা গেছে ছাদের ওপর অংশ চটিয়ে চিকন রড ফেলা হয়েছে। এর নিচে অপ্রয়োজনীয় রাবিশ পড়ে রয়েছে। ভবনের পাশে ঢালাই কাজের প্রস্তুতি চলছে। সেখানে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা বালুর স্তুপ। পাশেই রাখা হয়েছে কয়েক বস্তা সিমেন্ট। প্রায় ৭০ বস্তা সিমেন্ট ব্যবহার প্রয়োজন। এর মধ্যে বসুন্ধরা সিমেন্ট ৬ বস্তা এবং বাকিগুলো অলিম্পিয়াস নামের সিমেন্ট। সরকারি ল্যাবে সিমেন্ট বালু পরীক্ষার রিপোর্টও নেই ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের কাছে। কোনোপ্রকার কার্যাদেশ ছাড়াই ঠিকাদারের ইচ্ছেমাফিক ঢালাই করা হচ্ছে। সরকারি নিয়ম-নীতিরও তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। এছাড়াও কাজের কাছে উপস্থিত ছিলেন না সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলনার এম.এস বিল্ডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী পরিচয়দানকারী নুর তালাম মাহমুদ বলেন, ভবনটির রং ও বৈদ্যুতিক লাইনের কাজ করার জন্য ৫ লাখ টাকার কিছু বেশি প্রাক্কলিত ব্যয়ের কার্যাদেশ পেয়েছি। কিন্তু প্রকৌশলীদের মৌখিক নির্দেশে জলছাদ ঢালাই করছি।
এদিকে মোবাইলে যোগাযোগ করার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছুন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী গণেশ চন্দ্র সিংহ। তিনি বলেন, রং করার আগে আরসি প্যাড ঢালাই প্রয়োজন। ঠিকাদার কাজ করার পরে আমরা নিয়মমতো বিল দেবো। কার্যাদেশ ছাড়াই কোনো নকশায় কোন নিয়মে কাজ হচ্ছে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছি।
এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ননব্যান্ডের সিমেন্টের বিষয়টি ধরা করলে তাৎক্ষনিকভাবে ওই সিমেন্ট ফেরত দেয়ার কথা বলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। বালুর মান ভালো আছে বলে দাবি করেন সহকারী প্রকৌশলী।