ওষুধ ব্যবহার না করার বিষয়ে স্টক হোল্ডারদের সাথে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু হ্নষ্টপুষ্ট করণে স্টেরয়েড জাতীয়

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু হ্নষ্টপুষ্ট করণে স্টেরয়েড জাতীয় ওষধ ব্যবহার না করার বিষয়ে স্টেক হোল্ডারদের সাথে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় মিলনায়তনে এ মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএইচএম শামীমুজ্জামানের সভাপতিত্বে  সভায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার পাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত ও সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রফিউদ্দিন, মোহাম্মদ মহসিন, মোস্তাক আহমেদ ও মোহাম্মদ রাসেল। সভায় প্রধান অতিথি ডা. শ্যামল কুমার পাল বলেন ‘কাউকে এবার কোনো ধরনের ওষুধ ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। মানুষ স্বাচ্ছ্যন্দে বিশ্বাস করতে পারে চুয়াডাঙ্গায় স্টেরয়েড ব্যবহার করা হচ্ছে না। প্রত্যেকেই আমরা যেন বিষাক্ত জিনিষ ব্যবহার না করি সেইজন্য ৩-৪ মাস ধরে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা হয়েছে। স্টেরয়েডের কারণে মানুষের হার্ট-কিডনি এফেক্ট করে। এজন্য স্টেরয়েড ব্যবহার না করি সেজন্য সকলে কাজ করতে হবে। স্টেরয়েড ব্যবহার বন্ধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা জাগ্রত করতে হবে। মনে রাখতে হবে এসব খাদ্য খাচ্ছে আপনার-আমার স্বজনেরা। সেজন্য দেশের মানুষের মধ্যে দেশাত্মবোধ থাকতে হবে। দিনদিন জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। খাদ্যের চাহিদা মেটাতে হাইব্রিড ব্যবহার বাড়ছে। ডিম, দুধ ও মাংস প্রাণিসম্পদ বিভাগ সরবরাহ করছে। দেশের মানুষের মুখে বিশুদ্ধ খাদ্য তুলে দিতে প্রাণিসম্পদ বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কোরবানির জন্য ৫০ হাজার গরু ও ১ লাখ ছাগল প্রস্তত রয়েছে। এজন্য দেশের বাইরে থেকে গরু আসার প্রয়োজন পড়বে না।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এএইচএম শামীমুজ্জামান বলেন, ‘আদর্শ খাদ্য হিসেবে গরুকে ৬৫ ভাগ পরিমাণ বিচালী, কাঁচা ঘাস জাতীয় এবং ৩৫ ভাগ পরিমাণ গমের ভূষি, রাইস পালিশ, ডালের ভূষি, খৈল ও ক্ষুদ জাতীয় খাদ্য খাওয়াতে হবে। স্টেরয়েড ব্যবহার কোনোভাবেই কাম্য নয়।