এ পুরস্কার সকলের

 

স্টাফ রিপোর্টার: জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে গতকাল সোমবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক এলজিইডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান প্রমুখ। মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্য, সংসদ সদস্য, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনাসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরে নেমে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি অর্জিত পুরস্কার ও সম্মান দেশের জনগণের বলে উল্লেখ করেন। বলেন, বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। খাদ্য নিরাপত্তায় দারিদ্র্য বিমোচন এগিয়েছি। আমরা দারিদ্র্যকে ২৬ ভাগের নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। বাংলাদেশ থেকে আমরা যে আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন করেছি তা ধরে রাখতে হবে। সফরকালে বিশ্ব নেতাদের প্রত্যেকে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বসভায় স্বীকৃতি পেতেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় আমরা মর্যাদার আসনে বসবো। তিনি বলেন, আমি ভাগ্যবান। কারণ জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) যখন ২০০০ সালে শুরু করা হয়, তখন আমি প্রধানমন্ত্রী। এখনও আমি প্রধানমন্ত্রী। এমডিজির আটটি লক্ষ্য ২০১৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের আগেই আমরা এর কয়েকটি লক্ষ্য অর্জন করেছি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আমরা ২০২০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো। আমরা সরকারে আসার পর পুরস্কার নিয়ে আসি। আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সাউথ সাউথ এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও পুরস্কার নিয়ে এসেছি। তিনি উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, আমরা যা অর্জন করেছি, তা যেন ধরে রাখতে পারি এ জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বোমা,  সন্ত্রাস ও হানাহানিতে নিমজ্জিত ছিলো। সংবাদ সম্মেলন শেষে সন্ধ্যা ৬টা ১২ মিনিটে ভিভিআইপি টার্মিনালের বাইরে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মী-সমর্থকদের অভিনন্দন গ্রহণ করেন তিনি। মিনিট দুয়েক সেখানে অবস্থানের পর গাড়িবহর নিয়ে গণভবনের উদ্দেশে রওনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।