একক নির্বাচন ঠেকাতে সংগ্রাম কমিটি গঠন করুন

 

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের অধীনে এক তরফা নির্বাচন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে বিরোধীদলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, তারা এক তরফা নির্বাচন করতে চাইছে। কিন্তু এ ধরনের নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। এই নির্বাচন ঠেকাতে পাড়ায় পাড়ায় জনগণকে নিয়ে ১৮ দলীয় জোটের সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হবে। কিছুতেই আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। গতকাল শনিবার বিকেলে সিলেটের সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে ১৮ দলীয় জোট আয়োজিত জনসভায় তিনি এসবকথা বলেন। উপস্থিত জনমুদ্রের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় নির্বাচন করলে বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। যদি করতে চায় তাহলে সারাদেশে প্রতিটি নির্বাচনী বুথে সংগ্রাম কমিটি গঠন করে তা প্রতিহত করবেন।

রামপালের বিদ্যুতকেন্দ্র ভিত্তিতেই থাকবে করতে দেয়া হবে না: রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বিরোধী নেতা বলেন, আমরা বলেছি বিদ্যুতকেন্দ্রের দরকার আছে। কিন্তু রামপালের মতো জায়গায় নয়। এখানে হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে। সুন্দরবনের সব পশুপাখি ভারতের দিকে চলে যাবে। গাছগাছালি ও পানি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই রামপালের মতো জায়গায় নয়, অন্য জায়গায় করেন আমাদের আপত্তি নেই। আজকে প্রধানমন্ত্রী ভিত্তপ্রস্তর স্থাপন করেছেন, কিন্তু এই বিদ্যুতকেন্দ্র ভিত্তিতেই থাকবে, করতে দেয়া হবে না।

আর নির্যাতিত হবো না, এখন শুধু প্রতিবাদ: সরকারের পাঁচ বছরের অত্যাচারের বর্ণনা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, গত পাঁচ বছরে আমাদের বহু নেতাকর্মী গুম হয়েছে। শিবিরের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে কিভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ভালো ছেলেকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এটা কি সরকার পরিচালনার নমুনা। আমরা আর নির্যাতিত হবো না। এখন আমাদের জেগে উঠতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।

আবার সুযোগ দিলে দেশটাকে খেয়ে ফেলবে: ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বলেন, কথা কথায় শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আরেকবার সুযোগ দেন। একবার সুযোগ দিয়েছেন- ব্যাংকের টাকা লুটেপুটে খেয়েছে। শুধু সোনালী ব্যাংককে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ৩০৯ বছর লাগবে। তারা দেশের সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। শেয়ারবাজার, হলমার্ক, ডেসটিনির টাকা লুটপাট করেছে। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা সাহায্য দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আবার সুযোগ দিলে দেশটাকেই খেয়ে ফেলবে। তাই আর সুযোগ দেয়া যাবে না।

সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি এমএ হকের সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন ১৮ দলীয় নেতাদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের সংসদ সদস্য আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, ইজ্জত উল্লাহ, ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের আমীর আবদুল লতিফ নেজামী, বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মো. ইসহাক, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল হাসনাত আমিনী, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জমিয়তে উলামা ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শাহীনুর পাশা চৌধুরী, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, সেলিমা রহমান, শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, মহিলা সংসদ সদস্য শাম্মী আখতার, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব প্রমুখ।