এইডস বিতরণ !

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কিছু কিছু মানুষ কেন যে এমন ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর হয় তা ভাবলে বিবেকবানদের বাকরুদ্ধ হতে হয়। তেমনই শিউরে উঠতে হচ্ছে লিন্ডেনউড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বেপরোয়া কাজকর্মে। যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ বছর বয়সী এ ছাত্রের নাম মিশেল জনসন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মরণ ব্যাধি এইচআইভি এইডস আক্রান্ত। তা জানা সত্ত্বেও সে পর পর ৩২ মহিলার সাথে কোনো পদ্ধতি অবলম্বন ছাড়াই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে। স্বেচ্ছায় মরণ জীবাণু ছড়িয়ে দিয়েছে ওই ৩২ নারীর শরীরেও। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকবার যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সময়  যৌন সম্পর্কের সময়টি ক্যামেরাবন্দিও করেছে জনসন। প্রথমে পুলিশ মনে করেছিলো, অল্প কয়েকজনকে আক্রান্ত করেছে জনসন। কিন্তু পরে জনসনের সেক্স টেপ আবিষ্কারের পর, সে ধারণাও ভুল প্রমাণিত হয়। সেন্ট চার্লস কাউন্টির বিচারক টিম লোহমার বলেন,  মিশেল জনসনের ল্যাপটপে ৩২টি ভিডিও পাওয়া যায়। যেখান থেকে জানা যায়, ৩২ জনের সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি। চার মাসের মধ্যে এ ভিডিওগুলো ধারণ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ৩২ নারীই জানতেন না যে জনসন এইচআইভিতে আক্রান্ত এবং সে সব কিছু ক্যামেরাবন্দি করে রাখছে। ঘটনার পরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আক্রান্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। দোষ প্রমাণিত হলে জনসনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *