উপর্যুপরি কোপ : বিএনপি সমর্থক জোনাব আলীর হাতের কব্জি কর্তন

মেহেরপুরের পিরোজপুর গ্রামে আওয়ামী-বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা : বাড়িতে গিয়ে সশস্ত্র হামলা

 

স্টাফ রিপোর্টার: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরের পিরোজপুর গ্রামে বিএনপি সমর্থক জোনাব আলীর হাতের কব্জি কেটে নিয়েছে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের লোকজন। শুধু কব্জি কর্তন করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা, উপর্যুপরি কোপের আঘাতে পা থেকে শুরু করে সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে জোনাব আলীর। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জোনাব আলীর চোখেমুখে আতঙ্ক। কখন আবার তার ওপর হামলা করা হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রেফার করা হলেও আর্থিক সমস্যার কারণে পরিবারের লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে নিতে পারেনি।

সূত্র জানায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ.লীগ-বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। এরই জের ধরে বিএনপি সমর্থক জোনাব আলীকে (৫০) গতকাল সোমবার বিকেলে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। জোনাব আলী পিরোজপুর যাদুখালীপাড়ার মৃত রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে।

জোনাব আলীর লোকজন অভিযোগ করে বলেছেন, জোনাব আলী ৪ কন্যাসন্তানের জনক। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে তিনি বাড়ির পাশের আনোয়ারের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। গ্রামের কয়েকজন আওয়ামী লীগের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে জোনাব আলীর ওপর হামলা চালায়। জোনাব আলী নিজের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানেই উপর্যুপরি কোপাতে থাকে তারা। মাথার কোপটি বাঁ হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার বাঁ হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে জোনাব আলী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সারা শরীরে কোপায় তারা। এতে ডান হাতেরও একটি আঙুল কেটে পড়ে যায় তার। এ ছাড়া পা ও শরীরের অধিকাংশ স্থানে অসংখ্য কোপ মারে হামলাকারীরা। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রেফার করেন। গুরুতর জখম জোনাব আলীর পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে বলেন- গ্রামের প্রতিপক্ষের ছইরুদ্দিনের ছেলে কালু ও আজেহারের ছেলে কালুসহ ১০/১৫ জন অতর্কিত হামলা করে জোনাব আলীর হাতের কবজি কেটে নেয় এবং বেপরোয়াভাবে কুপিয়ে জখম করেন। গত শুক্রবার রাতে পিরোজপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ওহিদুর রহমান ডাবলুর ওপর শুক্রবার দিনগত রাতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগে তার পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর থেকেই গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনার পর ডাবলু বিএনপি সমর্থক কয়েকজনের নামে মামলা করেন। এরপর ঘটলো বিএনপি সমর্থক জোনাব আলীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা হলো। এ ঘটনার পর থেকে গ্রামে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো সময় গ্রামে আবারও হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।