ঈদের কেনাকাটা ও মাথা ন্যাড়া করায় কিশোরসহ ভিন্ন কারণে চুয়াডাঙ্গার ৬ জনের বিষপান

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঈদে পছন্দের পোশাক না পেয়ে ৩ নারী আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছে। এছাড়া পারিবারিক কলহের কারণে আরও জন বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালাই। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মনিরামপুর, সুবদিয়া, আলমডাঙ্গার আসমানখালী, নান্দবার, দামুড়হুদার ভগিরতপুর ও রামনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যা অপচেষ্টাকারী ৬ জনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা আসমানখালীর একরামুল হকের মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া খাতুন (১৫) বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তার পাশে থাকা স্বজনরা জানান, ঈদে পছন্দের পোশাক না পেয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে সে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায়।

উপজেলার নান্দবার গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী শান্তনা খাতুন (৩০) ছেলের পোশাক না কেনায় স্বামীর সাথে গণ্ডগোলের একপর্যায়ে বিষপান করে আত্মহত্যা অপচেষ্টা চালিয়েছে। গতকাল বিকেলে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

সদর উপজেলার আলুকদিয়া মনিরামপুরের ওমর আলীর স্ত্রী বুলু খাতুনের (২৫) ঈদের কেনাকাটা নিয়ে স্বামীর সাথে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বুধবার বেলা ১২টার দিকে বিষপান করেন তিনি। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

ঈদের কেনাকাটা নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বিষপান করেছেন দামুড়হুদা ভগিরতপুরের আলাউদ্দীনের স্ত্রী মিলি খাতুন (২৫)। গতকাল বিকেলে বিষপানের পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।

দামুড়হুদার রামনগর গ্রামের পলাশের স্ত্রী ইভা খাতুন (২৪) স্বামীর সাথে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির পর বিষপান করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র নাজমুলের মাথা ন্যাড়া করে দেয়ায় সে বিষপান করেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে বিকৃত স্টাইলে চুল কাটিয়ে বাড়ি ফেরে সে। বিকৃত স্টাইলে চুল কাটানোর জন্য নাজমুলের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তার বাবা। মাথা ন্যাড়া করায় সে বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালাই।