স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মওলা কবরস্থান জামে মসজিদের ইমাম নিয়ে মুসল্লিরা দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। গতরাতে তারাবির এশার নামাজের পূর্বে কিছু মুসল্লি ইমামের বিরুদ্ধে নামাজ হবে না বলে মন্তব্য করলে কিছু মুসল্লি প্রতিবাদ জানিয়ে ওই ইমামকেই নামাজ পড়ানোর আহ্বান জানান। এতে চরম উত্তেজনা দানা বাধে। ইমামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া মুসল্লিদের একাংশ শেষ পর্যন্ত মসজিদ থেকে বের হয়ে অন্য মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করেন।
জানা গেছে, হাফেজ মওলানা হারুন অর রশিদ প্রায় ৩ বছর ধরে জান্নাতুল মওলা জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেন। সম্প্রতি ওলামা পরিষদসহ কয়েকজন মুফতি ফতোয়া দিয়ে বলেন, বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুবাদে সেখানে মেয়েদের সাথে পর্দা না করেই কথা বলেন। ফলে তার পেছনে নামাজ আদায় করলে তা মাকরুহে তাহরিমি হবে। এ ফতোয়া দেয়ার পর ইমামের পক্ষেও হাদিস নিয়ে সামনে আসেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকে। ইমাম হারুন অর রশিদকেই নামাজ পড়ানোসহ যাবতীয় দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার পক্ষে অবস্থান নেন মুসল্লিদের একাংশ। অপরাংশ বিরুদ্ধে। দুু পক্ষই গতরাতে এশার নামাজ ও তারাবির আগে মসিজেদেই মুখোমুখি অবস্থান নেয়। উত্তেজনা চরমে পৌঁছুলেও শেষ পর্যন্ত মারামারি হয়নি।