ইনোভেশন ফর স্মার্ট গ্রিন বিল্ডিং টেকনোলোজি ব্যবহারেসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ইনোভেশন ফর স্মার্ট গ্রিন বিল্ডিং টেকনোলোজি ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুবের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু সাঈদ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরা। এপলম্বটেক বিডির প্রকৌশলী মাহমুদ ইউসুফ সেমিনারে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ইনোভেশন ফর স্মার্ট গ্রিন বিল্ডিং টেকনোলোজি ব্যবহারের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দেওয়ান মো. বরকতুজ্জামান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, গ্যাস,পানি ও বিদ্যুত অপচয়রোধে যে নবতর প্রযুক্তি আসছে তা যেন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সামর্থের মধ্যে থাকে। আগামী বছরের মে মাসের পর যখন এ প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হবে তখন জনগণ এর সুফল পাবে। এর ফলে গ্যাস,পানি ও বিদ্যুত অপচয়ের ক্ষতি থেকে জনগণ রক্ষা পাবে।

এপলম্বটেক বিডির প্রকৌশলী মাহমুদ ইউসুফ সেমিনারে বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের সাথে একপথে নিয়ে আসার লক্ষ্যে ইনোভেশন ফর স্মার্ট গ্রিন বিল্ডিং টেকনোলোজি কর্মসূচি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে। সেলফোন ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্ট গ্রিন বিল্ডিং নিয়ন্ত্রণ এবং মনিটর করা যাবে। স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় একটি বাড়ির ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি বৈদ্যুতিক পাখা, টিভি, ফ্রিজ, কুকার, ওভেন, গ্যাস, এয়ারকন্ডিশনার, সাপ্লাই পানি নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে বিদ্যুত, গ্যাস ও পানির অপচয় শতকরা ৩০ ভাগ রোধ করা সম্ভব। এসব কাজে খরচ পড়বে ৪০-৫০ হাজার টাকা। সেমিনারে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও এবং সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।