ইউপি মেম্বারের বাঙ্কারে ৬ তরুণী

স্টাফ রিপোর্টার: ওদের রাখা হয়েছিলো বাঙ্কারে। সুবিধাজনক সময়ে পাচার করে দেয়া হতো, কিন্তু তার আগেই ডিবি পুলিশের হাতে উদ্ধার হলো এ ৬ তরুণী। সেকেন্দার আলী নামে এক ইউপি সদস্যের গোপন বাঙ্কারে রাখা হয়েছিলো তাদের। বিভিন্ন স্থান থেকে নানা প্রলোভনে তাদের নিয়ে আসা হয় কালাইয়ের হারুঞ্জা গ্রামে। তরুণীদের উদ্ধারের সময় ইউপি সদস্যকে আটক করতে না পারলেও ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার কথিত ৪ স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ।

এলাকাবাসী জানায়, কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামের প্রভাবশালী ইউপি সদস্য সেকেন্দার আলী দালালদের মাধ্যমে ফুঁসলিয়ে আনতো সুন্দরী মেয়েদের। তারপর তাদেরকে দিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে কোটিপতি বনে গেছে সে। গত রোববার রাতে পুলিশি অভিযানে তার বাড়ির গোপন বাঙ্কার থেকে উদ্ধার হওয়া দেশের বিভিন্ন এলাকার ৬ তরুণীর জবানবন্দিতে এ বর্বরতার কাহিনী প্রকাশ পায়। উদ্ধারকৃত তরুণীরা হলো- ঢাকার মতিঝিল এলাকার কাসেম শেখের মেয়ে মুক্তি খাতুন নদী (২০), রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ গ্রামের মজিবর প্রামাণিকের মেয়ে সাথী খাতুন (১৯), জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার উত্তর দরিয়াবাদ গ্রামের শরমি শেখের মেয়ে মনোয়ারা খাতুন (১৬), জয়পুরহাট শহরের সোনারপট্টি এলাকার গোপাল চন্দ্রের মেয়ে শিখা রানী (১৮), জয়পুরহাট সদর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে নাজমা খাতুন (১৭) ও ক্ষেতলাল উপজেলার শাখারুঞ্জ গ্রামের আবদুস সাত্তারের মেয়ে শাপলা খাতুন (১৪)।  উদ্ধার হওয়া নদী জানায়, এক খদ্দেরের সহযোগিতায় সে তার বাড়িতে মোবাইলের মাধ্যমে সব ঘটনা জানালে ডিবির ওসি মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক কাইয়ুম ডিবি পুলিশ ফোর্সসহ সেকেন্দারের বাড়িটি ঘিরে ফেলে রোববার রাত ৯টার দিকে তাকেসহ মোট ৬ তরুণীকে উদ্ধার করে।