আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দি গ্রামে শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ দেড় লাখ টাকায় আপস!

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার আইলহাস ইউনিয়নের হাড়োকান্দি গ্রামে গৃহবধূকে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেয়ার অভিযোগ ওঠে শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনার দিন সকালে গৃহবধূ তার মাকে মোবাইলফোনে বলে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। আমি বাড়ি চলে আসছি। এরই ঘণ্টা খানেকের মাথায় আসে মৃত্যু সংবাদ। গৃববধূর পিতা-মাতা অভিযোগ করে তাদের মেয়েকে নির্যাতনের পর হত্যা করে মুখে বিষ দিয়েছে পাষণ্ড শ্বশুর-শাশুড়ি। গতকাল গোপন বৈঠকে দেড়লাখ টাকায় ঘটনাটি আপস হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার আইলহাস ইউনিয়নের হাড়োকান্দি গ্রামের সাত্তারের ছেলে শান্তি (৩৫) ও জেহালা ইউনিয়নের ছোটপুটিমারী গ্রামের রমজানের মেয়ে মরিয়ম (২৫) সাত বছর আগে নিজেদের পছন্দে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই ছেলের পছন্দের বউকে মেনে নিতে পারেনি শান্তির পিতা-মাতা। শান্তি পেশায় ট্রাক ড্রাইভার। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মরিয়মের স্বামীর অবর্তমানে সকাল ৮টার দিকে শাশুড়ি আরেজা খাতুনের সাথে ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মরিয়মের শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে তাকে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ করে গৃহবধূর পিতাপক্ষ। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই আসাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্বার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠায়। পরদিন গৃহবধূর পিতার বাড়ি ছোট পুটিমারী গ্রামে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকার কথিত নেতা গৃহবধূর পিতাকে ফুঁসলাতে থাকেন। এ নিয়ে গতকাল অজ্ঞাত স্থানে গোপন বৈঠকে মরিয়মের পিতাকে দেড় লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে আপস করে। আগামী ১৬ তারিখে টাকা পরিশোধ করা হবে বলে জানা গেছে।

এ নিয়ে এলাকাবাসী জানায়, লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট এখানো পাওয়া যায়নি। কিন্তু একটি কুচক্রীমহলের মদদে হত্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে অগ্রিম টাকা দিয়ে আপস করেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।