আলমডাঙ্গার ভোগাইলবগাদীতে আপত্তিকর অবস্থায় কপোতকপতি : সালিস

আসমানখালী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ভোগাইলবগাদীতে আপত্তিকর অবস্থায় কপোতকপতিকে আটক করেছে গ্রামবাসী। গত মঙ্গলবার রাতে তাদের দুজনকে আটক করে উত্তমমধ্যম দেয়া হয়। পরে গতকাল বুধবার সকালে সালিসের আয়োজন করা হয়।
গ্রামবাসীসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোগাইলবগাদীর প্রাবাসী হানিফ আলীর স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী শাপলা খাতুনের (২৮) সাথে পরকীয় সম্পর্ক গড়ে উঠে একই পাড়ার আকবর আলীর ছেলে এক সন্তানের জনক সিদ্দিক আলীর (৩৫) । গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে সিদ্দিক আলী সুযোগ বুঝে শাপলার ঘরে ঢোকে। এ সময় শাপলার শ্বশুড় অপেল ম-ল টের পেয়ে তাদের দুজনকে ঘরে আটক করেন। পরে প্রতিবেশীদের ডেকে উত্তমমধ্যম দেয়া হয়। রাতেই খবর দেয়া হয় শাপলার পিতার বাড়ি খাদিমপুর ইউনিয়নের রংপুর গ্রামে।
গতকাল বুধবার সকালে ভোগাইলবগাদী গ্রামে সালিসের আয়োজন করা হয়। সালিসে সিদ্দিক আলী স্বীকার করেন শাপলার সাথে তার দেড় বছর ধরে প্রেমজ সম্পর্ক রয়েছে। সিদ্দিক সালিসে শাপলাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। কিন্তু শাপলা বেকে বসেন। ভেস্তে যায় সব পরিকল্পনা। এক পর্যায়ে গ্রামের কাবিল নামের একজন সিদ্দিককে মারতে মারতে সালিস থেকে বের করে দেন। সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান সিদ্দিক। শাপলাকে তার পিতা রংপুরে নিলেও তার ৩ সন্তান দাদা-দাদির কাছে রয়েছে। সালিসে উপস্থিত ছিলেন বাছের আলী ম-ল, ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিবর রহমান, ইউপি সদস্য সাজেদুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি মোজাম আলী, ভোগাইলবগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নেজাদ আশরাফী সোহান মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা, আরিফুজ্জামান আরিফ, মিলন মাহামুদ, মোকাদেস, আরিফুল ইসলাম, জামের আলী, ডাবলু ম-ল, তোতা মিয়া ম-ল প্রমুখ।