আলমডাঙ্গার পৌরসভায় কাউন্সিলর ও সচিবের মধ্যে

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার পৌরসভার এক কাউন্সিলর ও সচিবের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম পৌর সচিব রফিকুল ইসলামের কক্ষে প্রবেশ করে হাট-বাজার ইজারা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে দুজনের মধ্যে বাগবিত-ার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা সচিবের পক্ষাবলম্বন করে থানায়, মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগপত্র জমা দেন। শেষে মেয়রের পরামর্শে অন্যান্য কাউন্সিলর আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
জানা গেছে, গতকাল বেলা পৌঁনে ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম পৌর সচিব রাকিবুল ইসলামের কক্ষে যান। তার কাছে হাট-বাজার ইজারা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চান। এ নিয়ে দুজনের সাথে বাগবিত-ার একপর্যায়ে হাতাহাতির শুরু হলে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের থামিয়ে দেন। পরে পৌরসভার সকল কর্মচারী কাজ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে সচিবের পক্ষে থানায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দেন এবং ঢাকায় অবস্থানরত পৌর মেয়রকে বিষয়টি অবহিত করেন। পৌর মেয়র হাসান কাদির গনুর পরামর্শে পৌর কাউন্সিলরগণ তাদের সাথে বসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সে সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র সদর উদ্দিন ভোলা, পৌর কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগ নেতা মতিয়ার রহমান ফারুক, আলাল উদ্দিন, আলী আজগর সাচ্চু, জহুরুল ইসলাম স্বপন, ফারুক হোসেন, মামুন-অর-রশিদ হাসান, আলমডাঙ্গা পৌর সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশরাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। পরে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাভাবিকভাবে কাজ শুরু করেন। পৌর কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক ওই ঘটনাকে অনাকাক্সিক্ষত ও ভুল বোঝাবুঝি উল্লেখ করে বলেন, পৌর সচিব ও কাউন্সিলরের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো তা মেয়রের পরামর্শে তাদের সাথে বসে আপস-মিমাংসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেয়র ঢাকা থেকে আসলে উভয় পক্ষকে নিয়ে আবারও বসবেন।