আলমডাঙ্গার পারকৃষ্ণপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগ : পারকৃষ্ণপুরের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে রংপুর গ্রামের সংযোগ সড়কের মাঠি ভরাট করেছে গ্রামবাসী

 

অনিক সাইফুল: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার অবহেলিত গ্রামের নাম পারকৃষ্ণপুর। স্বাধীনতার ৪২ বছরে এক ফোটা মাটি পড়েনি গ্রামের রাস্তায়। গ্রামবাসী সরকারি বরাদ্দের তোয়াক্কা না করে সম্মিলিতভাবে পারকৃষ্ণপুর মাথাভাঙ্গা নদী থেকে রংপুর যাওয়ার একমাত্র সড়কের মাঠি ভরাট করেছে। এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর গ্রামবাসী পারকৃষ্ণপুর থেকে রংপুরের মরাগাং পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার কাচা রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ করেছে। দীর্ঘ ৫০ বছরে রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে সরকারি সহায়তা না পেয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামাবাসী রাস্তায় মাঠি ভরাট করে। গ্রামবাসী অভিযোগ করে জানায়, মুন্সিগঞ্জ পশুহাটের মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় থেকে পারকৃষ্ণপুর গ্রাম হয়ে রংপুর, শিবপুর, আলিয়াটনগর, গোপালনগর, কমলাপুর গাংনী ও আসমানখালী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়কটিতে স্বাধীনতার আগে থেকে প্রায় ৫০ বছর এক মুঠো মাটি পড়েনি। বিলীন প্রায় সড়কটিতে লোকজন চলাচলও কমে যায়। গত কয়েকদিন ধরে গ্রামবাসী বৈঠক করে গ্রামের প্রায় ৫শ থেকে ৬শ লোক মাঠি ভরাট করে সড়কটি পুনরুদ্ধার করে। এ ব্যাপারে গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার আব্দুল জলিল, ইমান মেম্বার, ইউনুচ আলী, আলিহীনসহ মুজাম মাথাভাঙ্গাকে জানান, সরকারি বরাদ্দ চেয়ে কয়েকবার আবেদন করা হয়। আবেদনের কোনো সাড়া না পেয়ে এলাকার জনগণের একমাত্র চলাচলে কাচা রাস্তাটির মাটি ভরাট করা হয়েছে। এছাড়া গ্রামে প্রায় কয়েক হাজার লোকের বসবাস থাকলেও গ্রামে নেই কোনো পাকা রাস্তা। গ্রামবাসী গ্রামের কাচা রাস্তা পাকাকরণ ও মুন্সিগঞ্জ পশুহাট সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর একটি ব্রিজের দাবি জানিয়েছে।