আরও ১১টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক

 

স্টাফ রিপোর্টার: নতুন করে আরও ১১টি পণ্য সংরক্ষণ, সরবরাহ ও মোড়কিকরণে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। পণ্যগুলো হচ্ছে- আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, ধনে, মরিচ, আটা, ময়দা, ডাল ও তুষ-খুদ-কুঁড়া। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা ২০১৩ সংশোধন করে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০১৩ সালের ৩ জুন জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি সংরক্ষণ, সরবরাহ ও মোড়কিকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। সব মিলিয়ে ১৭টি পণ্য সংরক্ষণ, সরবরাহ ও মোড়কিকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলো। শুরুর দিকে ছয় পণ্যে ২০ কেজি বা তার বেশি পরিমাণ পণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করলেই চলতো। তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়। তখন যেকোনো পরিমাণ ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি পরিবহন ও সংরক্ষণে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে ধরাবাঁধা নিয়ম চালু করা হয়। ১৭টি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে সারাদেশে আবার অভিযান চালানো হবে। ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনিসহ ১৭টি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত এ অভিযান চলানো হবে। আগামী ১৫ মে থেকে সারাদেশে এই বিশেষ অভিযান শুরু হবে।

কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের বিধান রেখে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ বাস্তবায়নে এবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এজন্য এবার বিশেষ অভিযানে কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড এ দুটি দণ্ডের ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হবে। যদিও ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে দেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। এ অভিযানে জেলা প্রশাসন মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট দফতর/প্রতিষ্ঠান/চেম্বার/বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সহযোগিতায় জনগণকে উদ্বুব্ধ করাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। জনসচেতনতা বাড়াতে অটো রাইচ মিল, হাস্কিং মিল, চাতাল মালিক, অটো ফ্লাওয়ার মিল, ময়দার মিল ও তফশিলভুক্ত ১৭টি পণ্যের স্থানীয় পর্যায়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সকলকে আইন মেনে চলার জন্য বার্তা প্রেরণ করার মাধ্যমে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গাতেও জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা পাট অধিদফতরের মুখ্য পরিদর্শক সৈয়দ আলাউদ্দিন জানান, দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ফলে দেশের যেকোনো শহর, হাট-বাজারে বর্ণিত আইনের অধীন ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও বিপণনে পাটজাত মোড়ক বা বস্তা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে সপ্তাহব্যাপী ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’র বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য সারাদেশে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।