আগাম ভুট্টাক্ষেত পরিচর্যায় চাষিরা পার করছে ব্যস্ত সময় : দামুড়হুদায় কৃষি আবাদের তালিকায় শীর্ষস্থানে ভুট্টা

তাছির আহমেদ: দামুড়হুদা উপজেলার চাষিরা অল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়ার আশায় এবারও আগাম ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। চলতি রবি মরসুমের শুরুতেই আগাম ভুট্টা আবাদে ব্যাপক ধুম পড়ার পর চাষিরা এখন তা পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। ভুট্টাচাষিদের এমন তোড়জোড় দেখে অনেকেই মনে করেছেন, এবারও ভুট্টাচাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে দামুড়হুদার চাষিরা ভুট্টার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টাচাষের দিকে ঝুঁকে পড়ে। নতুন হাউলী গ্রামের বাবলু ও পুরাতন হাউলী গ্রামের তাহের আলী জানান, গ্রামের তালতলা মাঠে আশ্বিন মাসের প্রথম দিকে আগাম জাতের ভুট্টা আবাদ করেছি। প্রতিটি বীজ থেকেই চারা গজিয়েছে এবং গাছও ভালো হয়েছে। আগাম ভুট্টার দর সবসময় ভালো পাওয়া যায় এবং বাজারে  এর চাহিদাও থাকে বেশি। ভরা মরসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলেও এ ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু অন্যান্য ফসলে আর্থিকভাবে লোকসানের ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। যেখানে সেচের সুবিধা আছে, সেখানে ধানের পরপরই কৃষি আবাদের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে ভুট্টা। বর্তমানে ভূট্টার বহুমুখি ব্যবহার ও চাহিদার কারণে প্রায় সময়ই এর বাজারদর ভালো থাকে। ফলনের দিক থেকে  ভূট্টার ফলনও হয় বেশি। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে বিঘাপ্রতি ২৮ থেকে ৩০ মণ ফলন পাওয়া যায়। ভূট্টা প্রাকৃতিকভাবে সহনশীল জাত, অল্প খরচ, রোগ বালাই কম এবং অধিক ফলনের কারণে প্রতি মরসুমে ভূট্টার আবাদ বেশি হয়ে থাকে। আমাদের ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের অনেক চাষি ভুট্টা চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করে রেখেছে। দামুড়হুদা বাজারে ভুট্টার বীজ সরবরাহকারী দোকানিরা বলেন, এবার রবি মরসুমের শুরুতে বাজারে নানা জাতের ভুট্টাবীজ মজুদ রয়েছে। হাইব্রিড জাতের ভুট্টাবীজ খুব বিক্রি হচ্ছে। তবে চাষিরা বাজার যাচাই-বাছাই করে বীজ সংগ্রহ করছে। এবার নানা জাতের ভুট্টাবীজ ৩৩০ টাকা থেকে ৪১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গতবারের তুলনায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি।