অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচনে লিবারেল জোট জয়ী

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে টনি অ্যাবোটের নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি ও ন্যাশনাল পার্টির জোট জয়লাভ করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো গতকাল শনিবার বিকেলে জানিয়েছে, আগে থেকেই লিবারেল জোটের জয়লাভের আভাস পাওয়া গেলেও ভোট গণনা শেষে লিবারেল-ন্যাশনাল জোটের জয়লাভের কথা স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড। তবে দেশের অগ্রগতি ধরে রাখার লক্ষ্যে নবনির্বাচিত সরকারকে সবরকমের সহযোগিতা করবেন বলে জানান রাড। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, লেবারপার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের ছয় বছরের শাসনের পর শেষ পর্যন্ত লিবারেল পার্টিই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশটির ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, লিবারেল পার্টির নেতা অ্যাবোটই হতে যাচ্ছেন দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। তবে কতো ভোটের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। এর আগে গতকাল শনিবার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এবারের সাধারণ নির্বাচনে প্রায় এক কোটি ৪৭ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এবারের ভোট দেয়ার হার সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে এটিকে রেকর্ড আখ্যা দেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন লেবার পার্টির জুলিয়া গিলার্ড। গত জুনে লেবার পার্টি প্রধানের পদ থেকে গিলার্ড অবসর নিলে দলের প্রধানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রাড। নির্বাচনের আগে প্রাথমিক জনমত জরিপের ফল বলেছিল, ক্ষমতাসীন দলের চেয়ে বিরোধীদল ৫২ শতাংশ মানুষের সমর্থনে এগিয়ে রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, এবারের নির্বাচনের আগে উভয় দলের প্রচারণাতেই অর্থনৈতিক পরিবর্তনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। রাড তার নির্বাচনী প্রচারণায় লেবার পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে অর্থনৈতিক সাফল্যের ওপর জোর দেন। অন্যদিকে অ্যাবোট তার নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছেন, তিনি অপচয় বন্ধ করবেন এবং একবিংশ শতাব্দীর জন্য সুগম পথ তৈরি করবেন। নির্বাচনী প্রচারণায় অ্যাবোটের গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলোর মধ্যে ছিল কর্পোরেট দূষণ কর ও খনি থেকে অর্জিত লাভের ওপর কর বাতিল করা, কর্মীদের সবেতন মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি দেয়ার পরিকল্পনাসহ শক্তিশালী অর্থনীতির ওপর জোর দেয়া।