অভিযুক্ত গোডাউন ইনচার্জ আলোচিত আবু বক্কর কি পার পেয়ে যাবে?

 

কেরুজ মিলগেট গোডাউনে কৃষকদের ঋণের সার চুরি ঘটনা :তদন্তের শম্ভুক গতি

 

দর্শনা অফিস:বারবার ঘু ঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ধরা পড়ে গেছো ওরে সোনার চান’বহুল প্রচরিত এ প্রবাদবাক্যের মতো কী ফেঁসে যাচ্ছেন অভিযুক্ত গোডাউন ইনচার্জ বহুল আলোচিত আবু বক্কর? নাকি আবু বক্করের দম্ভক্তিই সত্যিতে রুপ দিচ্ছে এ প্রশ্নের গোলক ধাঁধার মতো ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম। আসলে কী হচ্ছে তদন্তে? অবশেষে কী আবু বক্করের অঢেল টাকার কাছে হার মেনে যাবে তদন্ত কার্যক্রম?

তদন্ত কমিটির প্রধান এসএম আলাউদ্দিন বলেছেন ভিন্ন কথা। কেরুজ সার গোডাউন থেকে আখ চাষিদের ঋণের সার চুরির ঘটনা ঘটে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এ প্রথা শুরু করেছেন গোডাউন ইনচার্জ আবু বক্কর ও জালাল উদ্দিন। কৃষকদের সার চুরির অভিযুক্ত দুচোরের হোতা হিসেবে নেপথ্যে রয়েছেন মিলের ডিজিএম ঋণ সম্প্রসারণ এসএম বাকী। তলে তলে অনেক দূরেই এগিয়েছেন এসএম বাকী। তদন্ত কমিটির তদন্তে কী তার নাম বেরিয়ে আসছে নাকি তিনি ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন? বেশ কিছুদিন আগে জালাল উদ্দিন অবসরগ্রহণ করলে অদৃশ্য হাতের ইশারায় তিনি ওই গোডাউনের চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অবশেষে গত সোমবার গোডাউনে কৃষকদের সার চুরির ঘটনায় সে পদটি হারিয়েছেন জালাল উদ্দিন। সার চুরি করে কৃষকদের হাতেনাতে ধরা পরেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন আবু বক্কর। কোন খুঁটির জোরে তিনি একই স্থানে দীর্ঘদিন দায়িত্বে রয়েছেন তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আবু বক্করসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সার চুরি ঘটনার পরদিন থেকে শুরু হয়েছে তদন্ত কার্যক্রম। ৩ সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন মিলের ডিজিএম সম্প্রসারণ এসএম আলাউদ্দিন। তদন্ত শুরুর পর থেকে গত পরশু রোববার তদন্ত শেষ হবে বলে আলাউদ্দিন জানালেও শেষ পর্যন্ত আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়নি। আসলে কী শেষ হয়নি নাকি শেষ করা হচ্ছেনা? এ প্রশ্ন উঠেছে কমিটির বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে আলাউদ্দিন বলেছেন, তার কমিটির একজন সদস্য হঠাত ছুটিতে থাকায় তদন্ত কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে যতো দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তবে কবে নাগাদ তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হচ্ছে তা পরিস্কারভাবে জানাতে পারেননি কমিটির প্রধান। এদিকে অভিযুক্ত সার চোর আবু বক্করের বিভাগীয় শাস্তির দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন আখচাষিকূল। তদন্ত প্রতিবেদনে টাকার বিনিময়ে আবু বক্করকে রক্ষা করা হলে চাষিরা বিকল্প ব্যবস্থা বেচে নিতে পারে বলেও জানিয়েছে। মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আজিজুর রহমান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন। বেশ কয়েকজন চাষি হতাসার সুরে বলেছেন, এবারো কী টাকার জোরে রেহাই পেয়ে যাবে আবু বক্কর? নাকি তদন্ত কমিটির সঠিক তদন্তের প্রেক্ষিতে চোরদের শাস্তি হবে? এখন শুধু অপেক্ষামাত্র প্রতিবেদনে আবু বক্করের বিরুদ্ধে নাকি পক্ষে লেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত সার চোর আবু বক্করের দম্ভক্তি কমেনি। আবু বক্কর নিজেকে রক্ষায় যতো খরচ হোকনা কেন করবেন বলে জানা গেছে। এতে যেখানে যাকে যেভাবে ম্যানেজ করার দরকার তাই করছেন তিনি।