অবরোধে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দুর্দশা বেড়েছে : দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

আলম আশরাফ: অবরোধ যেন পিছু ছাড়ছে না। সে কারণে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠারও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। দীর্ঘ অবরোধের পর গতকাল শুক্রবার একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আবারও আজ শনিবার থেকে টানা ৮৩ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দিয়েছে ১৮ দলীয় জোট। সংঘাতময় রাজনীতির অবসান ও শান্তি চেয়ে সারাদেশের ব্যবসায়ীদের শাদা পতাকায় প্রতিবাদবন্ধন কর্মসূচি পালন কোনো কাজেই আসেনি। ব্যবসায়ীদের উৎদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও অমূলক নয়। কারণ ছোট থেকে বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীরাই অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের সাথে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

এক মাস টানা অবরোধ আর হরতালে নাভিশ্বাস উঠেছে ফুটপাত কিংবা রাস্তার ধারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকানিদের। হরতালে সব স্তরের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভাবিত হলেও বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। চুয়াডাঙ্গার পুরাতন গলিতে রয়েছে পাইকারী কাপড়ের দোকান। সেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার কাপড়ের ব্যবসা হয়। হরতাল আর অবরোধে এখানকার পুরো চিত্রটাই পাল্টে গেছে। হরতাল কিংবা অবরোধ দুটোই একই রকম। দু কর্মসূচিতেই তাদের দোকানে ক্রেতা সমাগম থাকে না। পার্থক্য হরতালে দোকান বন্ধ রাখা হয়। আর অবরোধে খোলা রাখা হয়। ব্যবসায়ীরা জানান, বেচাকেনা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কমে গেছে। মার্কেটে ক্রেতা সমাগম কম থাকায় বেচাকেনা নেই। বেচাবিক্রি হলে কিছু লাভ হতো। কিন্তু বিক্রিই তো নেই। তারপরও কর্মচারীদের বেতন বিদ্যুত বিল তো আছেই।

জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানান, হরতাল অবরোধে নিরাপত্তাহীনতায় অনেকেই দোকান খোলার সাহস করছেন না। আর খোলা রেখেও লাভ হচ্ছে না। কারণ এ অস্থিরতার মধ্যে দরকার না হলে ক্রেতারা সোনার গয়নার মতো সৌখিন পণ্য কিনতে আগ্রহী হচ্ছে না।