অবরোধের প্রভাবে জীবননগরে বেগুনের কেজি ৫ টাকা : হতাশ কৃষক

জীবননগর ব্যুরো: অবরোধের বিরূপ প্রভাব পড়েছে উপজেলার সবজি বাজারে। অবরোধে যানবাহন বন্ধ থাকায় রাজধানী ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বরিশালে থেকে পাইকারি ক্রেতারা না আসায় সবজির দাম কমে গেছে। ফলে চাষিদেরকে মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে। কৃষকদের দাবি অবরোধের কারণে উৎপাদিত সবজি তারা খরচের অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। খুচরা বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি বেগুন ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

উপজেলার গোয়ালপাড়া, নতুনপাড়া, সদরপাড়া, মেদিনীপুর, উথলী, আন্দুলবাড়িয়া, অনন্তপুর, কর্চ্চাডাঙ্গা, মিনাজপুর, মুক্তারপুর, কুলতলা, বাঁকা, বৈদ্যনাথপুর, বালিহুদা, রায়পুর, বাড়ান্দী ও চাকলা এলাকায় এবার বিপুল পরিমাণ সবজির আবাদ করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির ফলনও ভালো হয়েছে। শুরুতে সবজির বাজার দর ভালো থাকলেও গত ৫ দিনের টানা অবরোধের কারণে সবজির দাম একেবারে কমে গেছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, বিএনপির ডাকা টানা অবরোধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকার খরিদ্দার না আসায় ও পরিবহন সঙ্কটের ফলে সময়মতো সবজি বিক্রি করতে না পারার কারণে অনেকের উৎপাদিত সবজি ক্ষেতেই পচে নষ্ট হচ্ছে।

উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের সবজি চাষি আব্দুল আলিম জানান, তিনি এবার দু বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। গতকাল শুক্রবার তিনি বাজারে বিক্রির জন্য আড়তে ৫ মণ বেগুন নিয়ে আসেন। কিন্তু অবরোধের কারণে বাইরে থেকে পাইকারি ক্রেতা না আসায় বেগুন বিক্রি হয়নি। ৫ মণ বেগুনের মধ্যে মাত্র দু মণ বেগুন তিনি একজন খুচরা বিক্রেতার নিকট ৩শ টাকায় বিক্রি করেছেন। বাকি বেগুন বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন। খুচরা সবজি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, হরতালের কারণে প্রতিকেজি বেগুন ১৩ টাকা থেকে নেমে ৫ টাকা, আলু ২৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা, সিম ৩৫ টাকা থেকে ১০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা থেকে ১৮ টাকা, ফুলকপি ১৫ টাকা থেকে ৪ টাকা, পাতা কপি ১৭ টাকা থেকে ৫ টাকা ও টমেটো ২৫ টাকা থেকে ১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আড়ৎব্যবসায়ী আকমল হোসেন, বাইরের কোনো ক্রেতা না আসায় তারা আড়তে কাঁচা মালামাল কেনা বন্ধ রেখেছেন।