সেনা মোতায়েনের দিনক্ষণ নির্ধারণের বৈঠক আজ : ২৩ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী দায়িত্বে নামতে পারে সেনাবাহিনী বিএনপি জামায়াতকে দু কৌশলে মোকাবেলার পরিকল্পনায় সরকার

স্টাফ রিপোর্টার: না, এখনো সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী তাদের নিয়মিত বার্ষিক মহড়ায় নেমেছে। তবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্বে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। এ বিষয়ে আজ শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ।

দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে শুধু দেশের সাধারণ মানুষই উদ্বিগ্ন নয়, আন্তর্জাতিকমহল থেকেও একের পর এক উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। অপরদিকে সরকার বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবেলার কর্মপন্থাও নির্ধারণ করছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হতে পারে। বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা প্রতিরোধে এমন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সরকারের হাইকমান্ডকে পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। তবে এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্তব্য নীতিনির্ধারক মহলের এক নেতার। তার আগে বিরোধী দলের সব কর্মসূচি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে মোকাবেলা করবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার। অবরোধের নামে সহিংসতা, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যাসহ সহিংস কর্মসূচি মোকাবেলায় আরও কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই বিএনপি-জামায়াতের সাথে সংঘর্ষে জড়াতে চায় না। জামায়াত দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে ভিন্ন কোনো রূপ যাতে না দিতে পারে সে সতর্কতার অংশ হিসেবে সংঘর্ষ এড়ানোর এ কৌশল নেয়া হয়েছে। র‌্যব-পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী খুব শিগগিরই আরও বেশ কিছু এলাকায় অভিযানে নামবে। যৌথবাহিনী সাতক্ষীরায় অভিযান চালিয়ে সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ভোর থেকে মেহেরপুরে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে সর্বদলীয় সরকারের।
নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে আগামী ২৩ ডিসেম্বরের পর থেকে সেনাবাহিনী মাঠে নামতে পারে। তবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আজ শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। ওইদিন সেনাবাহিনী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সাথে বৈঠক হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও অবরোধের কারণে তা পিছিয়ে শুক্রবার করা হয়। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের কাছে তারিখ পরিবর্তনের কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক সিনেট কমিটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির টেলিফোন এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতের উদ্যোগের পরও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো উন্নতি না হওয়ায় সিনেট কমিটির বৈঠকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।