সিইসি’র আন্দুলবাড়িয়াস্থ পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা হামলা : নিরাপত্তা জোরদার

জীবননগর ব্যুরো: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়াস্থ পৈত্রিক পরিত্যক্ত বাড়িতে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়েছে। গত পরশু রাতে দুটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়। একটি বিস্ফোরিত হলেও অপরটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়। পুলিশ এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পেট্রোল বোমা সাদৃশ্য একটি বস্তু উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় পর সিইসির বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জীবননগর থানার এসআই জুয়েল তদন্ত শুরু করেছেন।

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদের চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়ার গ্রামের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে নির্জন বাড়ির সামনে দুটি বোমা নিক্ষেপ করলে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাড়ির সামনে একটি কলাগাছের কয়েকটি পাতা আগুনে পুড়ে যায়। অপর অবিস্ফোরিত বোমাটি জীবননগর থানার ওসি শিকদার মশিউর রহমান গতকাল বেলা ১১টার দিকে একটি প্লাস্টিক ব্যাগসহ আলামত উদ্ধার করেন। পুলিশ বলছে, উদ্ধারকৃত বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি পেট্রোল বোমা নয়, কেরোসিন তেলভর্তি বোতল। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার উদ্দেশে যে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুরোনো জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত বাড়িতে কেউ থাকে না। দুর্বৃত্তরা সুযোগ বুঝে বোমা নিক্ষেপ করায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে প্রতিবেশী মহুরার রুহুল আমিন সন্টুসহ মহল্লাবাসী বলেছেন, বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলেও তারা কোনো কিছুই টের পাননি। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িটির সামনে লোকজনের উপস্থিতি দেখে তারা অবগত হন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শাদা বোতলের মধ্যে পেট্রোল দিয়ে কাপড়ের পলতে সাদৃশ্য বোমাটি বাড়ির সামনে সযত্নে রাখা হয়েছে। এ সময় বোমা সাদৃশ্য বস্তু দেখে উপস্থিত অনেকে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, বোমাবাজ চক্রটি অভিজ্ঞ নয়। শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে ও উত্তাল রাজনৈতিক ফায়দা লুটে জনমনে অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দুর্বৃত্তরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ আমাদের গর্ব। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার রাশীদুল হাসান ও জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।

দশম জাতীয় সংসদ র্নিবাচনের তফশিল ঘোষণার পর পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বাড়িটির নজরদারি শুরু করে এবং নাশকতার আশঙ্কায় জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. শহিদুল ইসলাম শহীদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। পুলিশি প্রহরা থাকার পরও সেখানে পেট্রোল বোমা হামলা চালানো হয়।