রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার: ইফতারি, তারাবি ও সেহরির সময় চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরে বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এক সভায় বিদ্যুত বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ ও ফরমালিনযুক্ত খাবার খাওয়ার চেয়ে না খাওয়ার পক্ষেই বলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। সভায় রমজানের পবিত্রতা রক্ষার বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। ঘুরে ফিরেই উঠে আসে দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি ও তার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিসিবির বিপনণ কেন্দ্রগুলোর সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি বাজারে পরিচালিত হবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইফতারি তৈরি এবং বিক্রির পরিবেশ যেমন দেখা হবে, তেমনই পবিত্রতা রক্ষার ক্ষেত্রে সিনেমাহলে অশ্লীল ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে কি-না তাও লক্ষ্যে করা হবে, সিনেমারপোস্টার লাগানো নিষেধ, সাইরেন একই সাথে বাজানো, গান বাজানো বন্ধ, ডিস লাইনে ভিসিডি চালানো বন্ধ রাখতে হবে সম্ভব না হলে ইসলামি অনুষ্ঠান প্রচার করতে হবে। রমজানে ভেজাল বিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে বলেও সভা থেকে সকলকে জানানো হয়। ইফতারি ও সেহরীর সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যালয় থেকে সাইরেন বাজানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়। বলা হয়, পবিত্র রমজানে ঈদের ৭দিন পূর্বপর্যন্ত দোকান বা বিপনণ কেন্দ্রগুলো নির্ধারিত সময়ে তথা ৯টার মধ্যে বন্ধ করার দিকেও বিশেষ নজর রাখতে হবে। সভায় বলা হয়, ভ্রাম্যমাণ আদালত কোথাও কোনো অনিয়ম পেলে জেল জরিমানা করবে। কোনো রকম নমনীয় দৃষ্টিতে দেখা হবে না। প্রতিটি চায়ের দোকান পর্দা দিয়ে আড়াল করতে হবে। দিনের বেলা খাবারের দোকান বন্ধ রাখা, প্রকাশ্যে ধুমপান বন্ধ, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা, ফরমালিনযুক্ত ফল ও মাছ বিক্রয় বন্ধ, টিসিবির পরিবেশকদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি, দোকানে দোকানে মূল্যতালিকা টাঙানো,ইসলামী ফাউন্ডেশনে শতকরা ৩০ ভাগ কমে বই বিক্রি, চাঁদাবাজি বন্ধসহ আইনশৃঙ্খলা উন্নতি, ইফতারির দোকানে মালামাল ঢেকে বিক্রি, অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় বন্ধ, চাঁদাবাজি ও যৌনহয়রানি রোধেবিপণী বিতানে পুলিশিনিরাপত্তা জোরদার করা, রাস্তায় দোকানপাট দেয়া বন্ধ, বিদ্যুতের সাশ্রয়ী করতেদোকান ও বাড়িতে আলোকসজ্জা বন্ধ, জাকাতের টাকা ইসলামী ফাউন্ডেশনে প্রদানসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া বাজার তদারকির জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠণ করা হয়েছে।সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুব, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান, দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন চান্নু, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সী আসাদুজ্জামান, মার্কেটিং অফিসার আব্দুর রহিমসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। এসময় সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা ও ইমামসহ বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।

Roja