মহাবিপদ সংকেত

শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে এ ঝড়ের কোন প্রভাবই নেই চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরে। তবে মাঝে মাঝে মেঘমালা উড়ে যাচ্ছে এলাকার আকাশ দিয়ে।

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব গোলাম মোস্তফা। তিনি জানান, ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহনের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে সকল আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সাথে জেলা-উপজেলার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার জন্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় জেলা প্রশাসনকে উদ্ধার তত্পরতা চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নৌযান প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরে সংকেত অনুযায়ী সমুদ্রে অবস্থিত সকল জাহাজ ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, উপকূলীয় লোকদের সতর্কতামূলক তথ্য প্রচার ও তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য সিপিপির ভলান্টিয়ারদের অনুরোধ করা হয়েছে। দুর্যোগে যাতে মানুষের কোনো জানমালের ক্ষতি না হয় তার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি রাখার জন্য তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে প্রত্যেক জেলায় ত্রাণ তত্পরতা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। নিজের জানমাল রক্ষায় দুর্যোগ সংক্রান্ত বার্তাকে অবহেলা না করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে উপকূলবাসীকে অনুরোধ করেন গোলাম মোস্তফা। সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আবু সৈয়দ মোহাম্মদ হাসিম, অতিরিক্ত সচিব ফায়জুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।