দৌলৎগঞ্জ স্থলবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন আজ

জীবননগর ব্যুরো: আজ শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার দৌলৎগঞ্জ স্থলবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাজাহান খাঁন এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্থলবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মো. আলী আজগার টগর, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. শফিকুল আযম খাঁন চঞ্চল, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়াম্যান মোয়েজ্জদ্দীন আহম্মেদ, বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক যুগ্মসচিব ভোলা নাথ দে, যুগ্মসচিব মো. শওকত আকবর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।2 (1) copy

জীবননগর উপজেলাসহ চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত দাবি পূরণ হওয়ায় জীবননগর উপজেলাজুড়ে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে এবং মন্ত্রী ও এমপিকে স্বাগত জানিয়ে ইতোমধ্যে সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে বিপুল পরিমাণ গেট ও তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজেদুর রহমান জানিয়েছেন, দৌলৎগঞ্জ স্থলবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

দৌলৎগঞ্জ-মাঝদিয়া সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুন্সী নাশির উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মুন্সী মাহবুবুর রহমান বাবু বলেন, এ স্থলবন্দর চালু হলে সড়ক পথে দেশের অন্য যেকোনো স্থলবন্দরের তুলনায় ঢাকা-কলকাতার দূরত্ব অনেক কম হবে। এছাড়া ভারতের নবদ্বীপের ট্রানজিট রুট চৌরাস্তা থেকে যশোর বেনাপোল স্থলবন্দরের দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার, সোনা মসজিদের দূরত্ব ৩১৬ কিলোমিটার আর জীবননগরের দৌলৎগঞ্জ চেকপোস্টের দূরত্ব হবে মাত্র ৪৪ কিলোমিটার। এ কারণে দৌলৎগঞ্জ-মাঝদিয়া স্থলবন্দর চালু হলে আমদানি পরিবহন খরচ অনেক কম হবে এবং পচনশীলদ্রব্য জীবননগর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে অল্প সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। একই সাথে বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপর চাপও কমবে। তাছাড়া স্থলবন্দরটি চালু হলে ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনসহ কয়েকটি দেশের সাথে ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।

উল্লেখ্য,      দৌলৎগঞ্জ-মাঝদিয়া শুল্কস্টেশন ও আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৭ সালে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় এ চেকপোস্টের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলেও ১৯৭২ সাল পর্যন্ত এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বসে বসে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন। পরে এ শুল্কস্টেশনের লোকবল অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। ২০০৮ সালে এ স্থলবন্দরটি পূনরায় চালু করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। সর্বশেষ গত ৩১ জুলাই সরকার এটিকে স্থলবন্দর হিসেবে গেজেটভুক্ত করেন।

আপাতত বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে। তবে ভারতীয় অংশে মাঝদিয়া স্থলবন্দরের কোনো উদ্বোধন হচ্ছে না। এ কারণে স্থলবন্দরের কার্যক্রম এখনই চালু হচ্ছে না। ভারতীয় সরকারের অনুমোদন মিললে উভয় দেশ যৌথভাবে এ স্থলবন্দরের উদ্বোধন করার পর এ স্থলবন্দরের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।