চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত : প্রধানমন্ত্রী বললেন

যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় কারো ফোনে কাজ হবে না

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সব রায় কার্যকরে তার সরকারের দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, এক যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর করা হয়েছে। বাকিদের রায়ও একের পর এক কার্যকর করা হবে। আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। ক্ষমতা আমার ভোগের বস্তু নয়। তাই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় কারো ফোনে কাজ হবে না। আমরা জনগণের স্বার্থ দেখবো, মানুষের কল্যাণে যা সত্য ও ন্যয় সেটাই করবো।

1

গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মানুষের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন। আমরা অনেক ধৈর্য্য ধরেছি। জামায়াত ছাড়া নির্বাচনে না আসতে চাইলে আসবেন না। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারবেন, ধ্বংসযজ্ঞ চালাবেন, আর আমরা বসে বসে সবকিছু সহ্য করবো, তা হবে না। আন্দোলনের নামে আপনাদের সহিংসতার জবাব কীভাবে দিতে হয়, দমন করতে হয় তা আমাদের ভাল করেই জানা আছে। আপনারা একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, সেই যুদ্ধে কীভাবে বিজয়ী হতে হয় তাও দেশের জনগণ জানে। একাত্তরের মতো এ যুদ্ধেও দেশের জনগণই বিজয়ী হবে ইনশাল্লাহ।

কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করেছিলাম এ বছরের ১৪ ডিসেম্বরের আগে কমপক্ষে একজন যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর করা। জনগণের সহযোগিতার কারণেই আমরা সেই রায় কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের আত্মার শান্তি ও দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে একের পর এক রায়ও এভাবে কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিরোধী দলীয় নেত্রী মানুষের জীবন নিয়ে খেলছেন। জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়ে উনি (খালেদা জিয়া) অনেক কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন পূরণ হবে না।

চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিক সাঈদ মাহাবুব শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। চুয়াডাঙ্গা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরের অদূরবর্তী স্থানে শহীদ স্মৃতিসৌধে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোক শপথ গ্রহণের আয়োজন করে।

নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন, কালো পতাকা উত্তোলন করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নূরুল ইসলাম মালিক। বিকেলে টিএনটি চত্বরের লিচু তলায় এক আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদুল ইসলাম আজাদ, পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, উপপ্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, শ্রমিকলীগের সভাপতি আফজালুল হক, যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, ছাত্রলীগের সহসভাপতি জুবাইদ বিন আজাদ সুস্তি, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপন প্রমুখ। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের। বিরোধীদল আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁসিয়ারী উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিরোধীদলের নেতারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। জনগণও জানে কীভাবে এর জবাব দিতে হয় ও যুদ্ধে জয়ী হতে হয়। এগুলো বন্ধ করার অনুরোধ জানান বক্তারা। বন্ধ না হলে কীভাবে দমন করতে হয় এটা আওয়ামী লীগ জানে। পরে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ উজ্জামান লিটু।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে প্রভাত ফেরি করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে মেহেরপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে হোটেলবাজার থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ বেদীতে গিয়ে শেষ হয়। ওই সময় সংসদ সদস্য আলহাজ মো. জয়নাল আবেদীন শহীদ বেদিতে ফুল দেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. খন্দকার আব্দুল মতিন, যুগ্মসম্পাদক সাইফুল ইসলাম পল্টু, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরপর মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাড. মিয়জান আলী ও মেহেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সহযোগী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুলের নেতৃত্বে মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ বেদীতে গিয়ে শেষ হয় ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে অ্যাড. মিয়াজান আলী শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এরপর মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেন দোদুল শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এ সময় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ মো. আসকার আলী, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামীম আরা হীরা, জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ইকবাল হোসেন বুলবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক আরিফুল এনাম বকুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। এরপর একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে। একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার ৩ রাস্তার মোড় থেকে একটি শোভাযাত্রা নিয়ে জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। এ সময় শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল আলম সাজ্জাদ, মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাঁন্দু, জেলা যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক নিশান সাবের, মাসুদ খান লিংকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরোন, মাহফিজুর রহমান মাহবুব, কোষাধ্যক্ষ মাহফিজুর রহমান রিটন, প্রচার সম্পদক জসিউর রহমান বকুল, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সদর থানা কৃষকলীগের সভাপতি জাফর ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলন প্রমুখ।

অপরদিকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে শহীদ ডা. সামছুজ্জোহানগর উদ্যানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সহসভাপতি সুশীল চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুমন, সহসাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কানন, আক্কাচ আলী প্রমুখ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে,  বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমঙ্গীর হোসেন পিন্টু। কলেজ ছাত্রলীগের নেতা মুকুটের উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার। প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাফসির আহম্মেদ লাল। বক্তব্য দেন সাবেক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা শাহীন, সাবেক পৌর সভাপতি আলম হোসেন, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক পলাশ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজান, পিন্টু, টুকুল, উপজেলা প্রচার সম্পাদক জাইদুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইকা, সরোয়ার, পৌর সাধারণ সম্পাদক তমাল, অর্থ সম্পাদক মুন্না, সহসভাপতি সাহাবুদ্দিন, প্রচার সম্পাদক তজবির, শান্ত, দিগন্ত, অপু, সোভন, রকিব, সুমন, শামিম, জুবায়ের, প্রমুখ।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় যথাযথ মর্যাদায় দিনব্যাপি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে দর্শনার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। এছাড়া দর্শনায় তিন দিনব্যাপি মহান বিজয় উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। গতকাল ১৪ ডিসেম্বর ছিলো জাতীয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসটি পালনের লক্ষ্যে সকাল ৯টার দিকে দর্শনা সরকারি কলেজ চত্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এমপি আলী আজগার টগর, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আব্দুস সহিদ, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান।

এদিকে দর্শনা কেরুজ বাজার মাঠে তিন দিনব্যাপি মহান বিজয় দিবস উৎসব উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। দর্শনা পৌরসভা, অনির্বাণ থিয়েটার, দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতি ও প্রেসক্লাব দর্শনার যৌথ আয়োজনে তিন দিনব্যাপি এ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনাকালে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর বলেন, বাঙালি জাতীর কাঙ্খিত বিজয়ের মাত্র দু দিন আগে পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের দোষর রাজাকার আলবদরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের। জাতীকে মেধা শূন্য করার জন্য সেদিন বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিলো। তাই আজকের এ দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবীদ আজিজুর রহমান, দর্শনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শরীফ উদ্দিন, দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবির হোসেন মিকা, প্রেসক্লাব দর্শনার সভাপতি আওয়াল হোসেন। অ্যাড. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা সৈয়দ মজনুর রহমান, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (প্রসাশন) আব্দুল কাইয়ুম, আ.লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, রুস্তম আলী, মোমিনুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, আলী মুনসুর বাবু, ফজলুল হক, শফিকুল আলম, দর্শনা পৌর প্যানেল মেয়র রেজাউল ইসলাম কাউন্সিলর রবিউল হক সুমন, সায়েম খান, প্রেসক্লাব দর্শনার সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক পিপুল, কোষাধ্যক্ষ হানিফ মণ্ডল, সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পনকালে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লী আকবর, জীবননগর আ.লীগ নেতা আ. লতিফ অমল, বিল্লাল হোসেন, গোলাম ফারুক আরিফ, যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান ছোট, আজিজুর রহমান বাবু, শেখ আসলাম আলী তোতা, মামুন শাহ, ইকবাল হোসাইন, আশরাফুল আলম বাবু, হাকিম প্রমুখ।

গতকাল শনিবার বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে চুয়াডাঙ্গা জেলা স্মৃতিস্তম্ভে বুদ্ধিজীবী শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি পদপ্রার্থী জেলা সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শেখ, জেলা নেতা আলাউদ্দীন উমর, যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় নেতা জেলা সভাপতি মামুনুর রশিদ, শ্রমিক নেতা গোলজার রহমান এবং আরো অনেকে।