‘সেরাকণ্ঠ’ খুলনা বিভাগের শীর্ষ দশে চুয়াডাঙ্গার সম্রাট

যশোর থেকে ঢাকায় যাওয়ার ইয়েস কার্ড নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে ফিরলো বাড়ি
স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা বিভাগের কয়েকশ প্রতিযোগীকে পিছু ফেলে গ্রান্ড অডিশন অতিক্রম করেছে চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজপাড়ার স¤্রাট। গতকাল শুক্রবার যশোর জেলা স্কুলে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত গ্রান্ড অডিশনে অংশ নিয়ে ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’.. গেয়ে বিচারক খুরশীদ আলম ও আকরামুল ইসলামের দৃষ্টি কাড়ে সে।
সম্রাট চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজপাড়ার আব্দুল খালেক লিটনের ছেলে। বাবাও এক সময় গান চর্চা করতেন। এখন সংসারের হাল টানতেই কেটে যায় সারাবেলা। সম্রাট গানে একদিন ভালো করবে। বরাবরই বাবার এ বিশ্বাসেই সম্রাট ছোটবেলা থেকেই গানের চর্চা করে আসছে। ফিজআপ চ্যানেল আই আয়োজিত ‘সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে খুলনা বিভাগের শীর্ষ ১০ জনের একজন হওয়ার পরপরই এলাকাবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে সে। বলেছে, যশোরে ধারণকৃত অংশ কবে কখন সম্প্রচার হবে তা এখনও জানানো হয়নি। পরবর্তীতে জানিয়ে দেবে। আর প্রথম দিনে গ্রান্ড অডিশনে প্রথমে বাবার মুখে প্রথম যেদিন খানটি গাওয়ার পর ৫১ জন থেকে ১০ জনে যাওয়ার সিঁড়ি মাড়াতে গাইতে হয়েছে আরও তিনটি গান। হায়রে মানুষ রঙিন মানুষ দম ফুরাইলেই ফুঁস গান শুনানোর পর তুমি মোর জীবনের ভাবনা গানটিও গাইতে হয়। পরে যখন আমার মনটা কাইড়া নিলো সে…. তখনই বিচারকদের নম্বরে সম্রাট পেয়ে যায় ইয়েস কার্ড। দেয়া হয় একটি ম্যাডেলসহ ঢাকায় যাওয়ার সনদ।
গতরাতে ট্রেনযোগে বাড়ি ফেরে সম্রাট।