৯ ম্যাচ নিষিদ্ধ সুয়ারেস

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইতালির ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েল্লিনির কাঁধে কামড়দেয়ার জন্য লুইস সুয়ারেসকে নয় ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। এছাড়াওফুটবল সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে চার মাসের জন্য উরুগুয়ের এস্ট্রাইকারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।তদন্ত শেষেঅভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দেয় ফিফা। ফলে উরুগুয়ের হয়ে বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোসহ নয় ম্যাচ খেলতে পারবেন না সুয়ারেস।ক্লাব লিভারপুলের হয়ে ৪ মাস খেলতে পারবেন না সুয়ারেস। ফলে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম নয়টি ম্যাচে তাকে তার দল পাবে না।একই সাথে ১ লাখ ১১ হাজার ডলার জরিমানাওদিতে হবে এ স্ট্রাইকারকে।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা সবচেয়ে বড় নিষেধাজ্ঞার শাস্তি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে ইতালির ডিফেন্ডার মাওরো তাস্সোত্তিকে ৮ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।কোয়ার্টার-ফাইনালে স্পেনের লুইস এনরিকের মুখে কনুই দিয়ে আঘাত করেছিলেন তিনি।সুয়ারেসকে শাস্তির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিন দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবে উরুগুয়ে।ফিফা জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দলবদলে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই সুয়ারেসের।ফিফা ডিসিপ্লিনারিকমিটির চেয়ারম্যান ক্লাওদিও সুলসার এ ঘটনা আর শাস্তি নিয়ে বলেন, কোনো ফুটবলমাঠেই এ ধরণের আচরণ মেনে নেয়া যায় না। বিশেষ করে বিশ্বকাপের মতো আসরে তো নয়ই,যেখানে লাখ লাখ মানুষ তাদেরপ্রিয় তারকাদের ওপর নজর রাখে। গত মঙ্গলবার ইতালির বিপক্ষেগ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ৮০ মিনিটে অপ্রীতিকর কাণ্ডটা করেনসুয়ারেস। কিয়েল্লিনির সাথে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে হঠাৎ করেই তার কাঁধে কামড় দেনতিনি। তারপরই নিজের দাঁত ধরে মাঠে বসে থাকতে দেখা যায় সুয়ারেসকে।তাছাড়া সংবাদ মাধ্যমের তোলা ছবিতে কিয়েল্লিনির কাঁধে কামড়ের দাগ দেখাগেছে।দেখানোর চেষ্টা করেন। মাঠে সুয়ারেসকে কোনো শাস্তি পেতে নাহলেও গত বুধবার ফিফা ওই কাণ্ডের বিপক্ষে তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দেয়।প্রতিপক্ষকে কামড় দিয়ে এরআগেও দু বার শাস্তি পেয়েছেন সুয়ারেস।গত বছর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চেলসির ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচকে কামড়ে দিয়ে ১০ ম্যাচেরজন্য নিষিদ্ধ হন তিনি।আর ২০১০ সালে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্স আমস্টারডমে হয়ে খেলার সময় পিএসভি আইন্দহোভেনেরঅটমান বাকালকে কামড়ানোর কারণে ৭ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।বিশ্বকাপের গত আসরেও বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দেন সুয়ারেস। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের শেষআটের ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ঘানার একটি নিশ্চিত গোলের প্রচেষ্টা হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দেনতিনি। ওই অপরাধে লালকার্ড দেখায় সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি সুয়ারেস।