৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মেয়ে বৃষ্টিকে খুঁজে পেলেন চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লাহর শাহিন আলী

আলমডাঙ্গা ব্যরো: হারিয়ে যাওয়া কোনো কিছু খুঁজে পেলে মানুষ কতোই না খুশি হয়। সেটা যদি হয় সবচেয়ে আপনজন। দীর্ঘ ৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে খুঁজে পেলেন চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লাহর কৃষক শাহিন আলী। গতকাল রোববার শাহিনের হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের এক আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি নিয়ে যান। ঢাকা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া ছোট শিশু বৃষ্টিকে পুলিশের কাছ থেকে ওই আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য নিজের বাড়িতে এনে মেয়ের মতো লালনপালন করছিলেন।

এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের আরমান আলী ঢাকায় আনসার ব্যাটালিয়নে চাকরি করেন। ৫ বছর আগে ঢাকার মহাখালী নিকেতন সোসাইটির পাশে ৫ বছরের শিশু একটি মেয়েকে কান্নাকাটি করা অবস্থায় স্থানীয় লোকজন কুড়িয়ে পেয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মেয়েটি তার নাম বৃষ্টি ছাড়া কিছুই বলতে পারে না। এভাবে কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পর আরমান আলী মেয়েটিকে পুলিশের কাছ থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। তিনি মেয়েটিকে তার বাড়ি আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামে এনে গ্রামের স্কুলে ভর্তি করেন। নাম রাখেন আকলিমা। নিজের মেয়ের মতোই লালনপালন করতে থাকেন। এভাবে দীর্ঘ ৫ বছর কেটে যাওয়ার পর গত শুক্রবার মেয়েটির পিতা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভিমরুল্লাহর শাহিন আলী হারিয়ে যাওয়া মেয়ের খোঁজ জানতে পারেন। গতকাল তিনি তার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে ডাউকি গ্রামে আসেন। মেয়েটি তার পিতা-মাতাকে দেখে চিনতে পেরে তাদের সাথে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। এ সময় শাহিন আলী তার মেয়ের দেহের কয়েকটি চিহ্ন ও ৫ বছর আগে তার এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়ার বর্ণনা ও কিছু স্মৃতির কথা বললে সেগুলো মিলে যায়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তাদের হাতে মেয়েটিকে তুলে দেয়া হয়। হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে খুঁজে পেয়ে শাহিন আলী ও তার স্বজনরা খুশি হলেও দীর্ঘ ৫ বছর নিজ সন্তানের মতো লালনপালন করা আরমান আলীর পরিবার ব্যাথায় ব্যথিত।