১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের ‘জনতার মঞ্চ’ আদলে ‘গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে বিএনপি চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল : অভিযাত্রা নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা

স্টাফ রিপোর্টার: আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তিসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি, একাংশসহ দু মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যানারে পৃথক স্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলগুলো পুলিশি বাধার মুখে পড়লে সেখানেই সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ থেকে ১৮ দলীয় জোট ঘোষিত আগামী রোববার ২৯ ডিসেম্বর ‘ঢাকা অভিমুখে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হয়।

ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে জোটের প্রধান শরিক বিএনপি। কর্মসূচি প্রতিহত করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ১৪ দলীয় জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ। তাই জনমনে প্রশ্ন : কী হতে যাচ্ছে ২৯ ডিসেম্বর। ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির দাবিতে আওয়ামী লীগ ‘জনতার মঞ্চ’ করেছিলো, সে আদলে ‘গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চ’ গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি। তারা বলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঢাকায় টানা অবস্থান করতে পারে। আওয়ামী লীগ বলছে, অভিযাত্রা কর্মসূচির আড়ালে লুকিয়ে আছে নাশকতার চক্রান্ত। এ চক্রান্ত সফল হতে দেয়া যাবে না। ৫ মে হেফাজতে ইসলামকে অবস্থান কর্মসূচি করতে দেয়ায় তারা অকল্পনীয় নাশকতা চালিয়েছে। ওই ভুল আর করা হবে না। এজন্য রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় অপরিচিত কাউকে দেখলে ‘২৯ তারিখে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য এসেছে’ সন্দেহ হলে পুলিশে সোপর্দ করতে কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রয়োজনে লাঠি নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অপরদিকে গুঞ্জন রয়েছে, হেফাজত কর্মীদের ঢাকায় সমবেত করতে গোপনে প্রস্তুতি চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির বড় বড় নেতারা গ্রেফতার আতঙ্কে আত্মগোপনে থাকলেও তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা বন্ধ নেই। মহানগর আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, প্রয়োজনে রক্ত দেবো, তবু অভিযাত্রার নামে নাশকতা চালাতে দেবো না। উভয় পক্ষের উচ্চারণ থেকে নাগরিকদের বাড়ছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। তবে উদ্বেগই বেশি।

গতকাল বিকেল ৪টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহীদ হাসান চত্বর অতিক্রম করে কোর্ট রোড অভিমুখে রওনা দিলে হোটেল আল মেরাজের সামনে পুলিশ বিনা উষ্কানিতে পুলিশ বাধা দিলে মিছিলটি পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম. জেনারেল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার ২৯ ডিসেম্বর মার্চ অব ডেমোক্রেসি (গণতন্ত্রের অভিযাত্রা)’র যে ডাক দিয়েছেন ওই কর্মসূচি সফল করার জন্য সব রকম সহযোগিতা করবে চুয়াডাঙ্গার সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। জানিয়ে দিতে হবে, এ সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ। এদেশে কোনো প্রহসনের নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। তিনি অবিলম্বে দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং নির্যাতন বন্ধ করতে এ সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। তা না হলে আওয়ামী লীগের শেষ পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক অ্যাড. আসম আব্দুর রউফ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, সদর পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু, জেলা ওলামাদলের সভাপতি ফজলুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য এমএ তালহা। উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সদর থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, পৌর বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. মইনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সদস্য আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, মোখলেছুজ্জামান মোখলেছ, আরিফুজ্জামান পিন্টু, মামুন রেজা সবুজ, শফিকুল ইসলাম পিটু, তৌফিকুজ্জামান তৌফিক, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ, রাজিব খান, সুজন মালিক, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহবুবুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রভাষক আতিয়ার রহমান, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন, বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন, বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন মহি, ওলামাদলের নেতা হাফেজ আল জাহিদ, পৌর বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ, মজনু মণ্ডল, গোলাম কিবরিয়া তিস্তা, বজলুর রহমান, হাফিজুর রহমান, শফিকুল কবির জুয়েল প্রমুখ।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর ১৮ দলীয় জোট একাংশের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি কোর্টমোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কোর্টমোড়ের সমাবেশে মিলিত হয়। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ১৮ দলীয় জোটের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মনি। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. এমএম শাহজাহান মুকুল, যুগ্মসম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, দফতর সম্পাদক আবু আলা সামসুজ্জামান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য অ্যাড. আসাদুজ্জামান, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা তৃণমূল দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক আবু প্রমুখ।

এদিকে গতকাল বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অর্থবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ১ নং পানির ট্যাঙ্ক সংলগ্ন স্থান থেকে বের হয়ে কোর্ট মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে পুনরায় পানির ট্যাঙ্কের নিকট সমাবেশে মিলিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আইনুর হোসেন পচা। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের যুগ্মসম্পাদক জেলা জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরশেদ আলী কালু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ স্মপাদক ওহিদুল ইসলাম ওহিদ, জেলা কৃষকদলের সভাপতি হামিদুল হক নেতাজী।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে পান্না সিনেমাহলস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপি নেতা লে.কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামানের সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলী হোসেন, সহপ্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম মুকুট, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সহসভাপতি মোহাসিন আলী বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সদস্য মফিজুর রহমান মনা, সৈয়দ শরিফুল আলম বিলাস, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান লিপ্টন ও আব্দুল খালেক। বক্তারা শেখ হাসিনার অবৈধ নির্বাচন এবং তফশিল বাতিল ও সারাদেশে গ্রেফতার এবং নির্যাতনের তিব্র নিন্দা করেন এবং জনগণকে সাথে নিয়ে আগামী ৫ তারিখের প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করার আহ্বান জানান।

আলমডাঙ্গা ব্যরো জানিয়েছে, ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিকেলে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। মিলি শেষে দলী কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসরাফ হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির নুর মোহাম্মদ টিপু, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল জব্বার, পৌর বিএনপির সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, হারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহিনুল ইসলাম, কুমারীর সভাপতি বিল্লাল হোসেন, বেলগাছির সভাপতি আমজাদ হোসেন, জামজামির সভাপতি আব্দুল লতিফ তোতা, লিয়াকত আলি, আব্দুল হান্নান, আবু বকর, জমির উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, একরামুল হক বুলু, আব্দুল রশিদ, জিল্লুর রহমান,মহির উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, জামায়াত নেতা বিল্লাল হোসন, জামিরুল, আমিরুল, আশরাফুল, আব্দুল কুদ্দুস, আবুল কালাম, আব্দুল মান্নান, আব্দুল কাদের, সেলিম রেজা, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মিল্টন মল্লিক, মাগরিবুর রহমান, গোলাম হোসেন, নাসির উদ্দিন, ওহিদুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, উজ্জ্বল, গোলাম বিশ্বাস, আলতাফ, মনা, মনির, খাজা করিম, সোয়েব, মাসুদ পারভেজ, ছাত্রদল নেতা তৌফিক খান, সৈয়দ লিমন, রহিদ, রানা, কিতাব, আলা, তপু, রাশেদ প্রমুখ।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দর্শনা পৌর বিএনপি দুটি অংশ ও জামায়াতের উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল দর্শনা বাসস্ট্যান্ড থেকে বের করা হয়। মিছিলটি দর্শনা পুরাতন বাজার মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি রুহুল আমীন, জেলা শ্রমিকদল নেতা বিএনপি নেতা সাবু তরফদার, মহিদুল ইসলাম, মাহবুবুল ইসলাম খোকন, আব্দুল মান্নান, হাবিবুর রহমান বুলেট, ইকবাল হোসেন, নাহারুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন খেদু, জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের, গোলজার হোসেন প্রমুখ।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলটি বের হয়। মিছিলে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শ শ নেতাকর্মী অংশ নেয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে ফিরে সমাবেশ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি নেতা মসিউর রহমান, অ্যাড. এমএ মজিদ, আবদুল মতলেব, জাহিদুজ্জামান মনা, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বক্তারা আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা অভিমুখি সমাবেশ সফল করতে সকল নেতা-কর্মীদের ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।