১৩১ ঘণ্টার টানা অবরোধে নিহত ৩১ : কাল ভোর থেকে ফের ৭২ ঘণ্টার অবরোধ

চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে আন্দোলনকারীদের কৌশলী অবস্থান : ঝটিকা মিছিল সংক্ষিপ্ত সমাবেশ

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: সহিংসতা, নাশকতা, প্রাণহানি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মারমুখি অবস্থানসহ ধরপাকড়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১৮ দলের ডাকা ১৩১ ঘণ্টার টানা অবরোধ। আজ একদিনের বিরতি দিয়ে আগামীকাল শনিবার থেকে তৃতীয় দফায় ফের ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিরোধী জোট। শনিবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৫টা পর্যন্ত দেশব্যাপি এ অবরোধ চলবে।

11_Opposition+Shutdown_Chandpur_051213

দু দফা অবরোধে সারাদেশে এ পর্যন্ত ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রথম দফা তিন দিনের অবরোধে নিহত হয়েছেন ২২ জন। দ্বিতীয় দফা  ১৩১ ঘণ্টা অবরোধের ৬ দিনে সারাদেশে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৯ জন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জীবনননগরের আনছারবাড়িয়া এলাকার এক ট্রাকচালক ও হেলপারকেও রাস্তায় বেরিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। সারাদেশে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সহস্রাধিক। এদিকে দ্বিতীয় দফা অবরোধের শেষ দিনেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, রেললাইন উৎপাটন ও লঞ্চে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। চুয়াডাঙ্গা বিএনপি, বিএনপির একাংশ ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের একজনের সমর্থকরা ঝটিকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে। মেহেরপুরের কমপক্ষে তিনটি স্থানে অবরোধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে।

ফেনীতে বুধবার পুলিশের গুলিতে আহত রিকশাচালক মফিজুর রহমান গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রাজধানীর সায়েদাবাদে বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলে ঘুমন্ত হেলপার হাসান মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। বাস-ট্রেনের পর এবার আগুন দেয়া হয়েছে লঞ্চেও। তফসিল প্রত্যাহার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে টানা ৬ দিনের অবরোধের পর আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। ( ….. পাতায় ….. কলামে দেখুন)

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এক তরফা নির্বাচন বন্ধ, গ্রেফতার, নির্যাতন, হামলা-মামলা বন্ধ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ১৮ দলের ডাকে ৬ষ্ঠ দিন অবরোধের সমর্থনে জেলা বিএনপি মিছিল করে। মিছিলটি শহীদ হাসান চত্বর হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এম জেনারেল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম রতন, মজিবুল হক মালিক মজু, আবু জাফর মন্টু, রবিউল ইসলাম লিটন, এমএ সাঈদ, আব্দুস সাত্তার, মো. ফজলুর রহমান, মঈদুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ কালু, আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, মোখলেছুজ্জামান মোখলেছ, ফারুক মল্লিক, স্বাধীন অধিকারী, আরিফুজ্জামান পিন্টু, এমএ তালহা, রাজিব খান, সুজন মালিক, মোমিনুর রহমান মোমিন, শফিকুল কবীর জুয়েল প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা ৬ দিন শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ পালন করার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীকে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।

পৃথক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অপরাংশ জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জস্থ কার্যালয়ে এক সভা আয়োজন করা হয়। সভায় আগামীদিনের অবরোধসহ সকল কর্মসূচি সফল করতে এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। সভাপতিত্ব করেন আবু আলা সামসুজ্জমান। প্রধান অতিথি ছিলেন মাহমুদুল হক পল্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন মনিরুজ্জামান মনির, যুবদল একাংশের সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, তৃণমূল দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক আবু প্রমুখ।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকসহ স্থানীয় মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সাদেক হোসেন খোকাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদসহ সকল গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে মিছিলে নেতৃত্বে ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। বেলা সাড়ে ১১টায় কোর্টমোড় থেকে মিছিলটি বের হয়। এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল। প্রধান অতিথি ছিলেন আইনুর হোসেন পচা। অতিথি ছিলেন আরশেদ আলী কালু, ওহিদুল ইসলাম ওহিদ, আজাদুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের ৩টি সড়ক অবরোধ করেছেন জোটের নেতাকর্মীরা। এ সময় সড়কে টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করা হয়। কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়কে সদর উপজেলার রাজনগর এলাকায় পূর্বের ন্যায় গতকালও অবরোধ করেন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। এআরবি কলেজের সামনে থেকে রাজনগর মোড় পর্যন্ত সড়কে গাছ ও ইট ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আমঝুপি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির সিরাজুল ইসলাম। অবরোধের সময় সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল মালেক মোল্লার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সকালে আমঝুপি গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে তিনি ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় অবরোধের কবলে পড়েন। অবরোধকারীদের সাথে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে তারা। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। তবে আব্দুল মালেক মোল্লা জানিয়েছেন, তিনি মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে রেখে মাঠে ক্ষেত পরিদর্শন করছিলেন। এ সময় অবরোধকারীরা তার মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে।

ভোর থেকেই মেহেরপুর-কাথুলী সড়কে শহরের অদূরে কায়েমকাটার মোড়ে অবরোধ করেন ১৮ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন। উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ জোটের নেতৃবৃন্দ। সড়কের ওপর টায়ারে আগুন দিয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপি অবরোধ করা হয়। এ সময় ৭/৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের বন্দর পিটিআই মোড়ে অবরোধের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ফারুক হোসেন। এ সময় কয়েক দফা বিক্ষোভ করেন জোটের সমর্থকরা।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর গাংনীতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে জেলা বিএনপির সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের নেতৃত্বে গাংনী-হাটবোয়ালিয়া সড়কের পূর্বমালসাদহ মোড়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় গাংনী থানার এএসআই মনিরসহ পুলিশের সদস্যরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল গাংনী শহর অভিমুখে রওনা হয়। অবরোধ সফল ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিলটি গাংনী শহরে প্রবেশ করে। দীর্ঘদিন পরে বিএনপির কোনো বিক্ষোভ গাংনী শহরে প্রবেশকে বিএনপির রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূর্বমালসাদহ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, এক তরফা নির্বাচন কোনোভাবেই করতে দেয়া হবে না। জাতীয়তাবাদী শক্তির সকল মানুষ আজ রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করছে। সকল ষড়যন্ত্র রুখে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র রক্ষা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মুরাদ আলী, গাংনী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি গিয়াস উদ্দীন, পৌর জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদল নেতা আব্দুল ওহাব বুলবুল, জামাল উদ্দীন, সাইফুল ইসলাম সেলিম, উপজেলা তৃণমূল দলের সাধারণ সম্পাদক টুল্টু বিশ্বাস, রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলফাজ উদ্দীন কালু, ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান সাবদাল হোসেন কালু, বামন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ বাচ্চু ও ছাত্রদল নেতা চপল বিশ্বাসসহ নেতৃবৃন্দ।

ডাকবাংলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাগান্না ও সাধুহাটি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল করেছে। ডাকবাংলা বাজারের ত্রিমহনী থেকে মিছিলটি শুরু করে ডাকবাংলা হাজি মার্কেটে শেষ হয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সাধুহাটি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আনাম। প্রধান অতিথি ছিলেন সাগান্না ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আল মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খলিলুর রহমান, সাগান্না ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মেম্বার, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ছাত্রদলনেতা জাবির খান রুস্তম, ওলিয়ার মেম্বার, জিন্দার মেম্বার, বাজার যুবদলের সভাপতি নাহিদ, ইউনিয়ন যুবদলের প্রচার সম্পাদক রিপন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আল আমিন, সিনিয়র সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার অবরোধের শেষ দিনে এখানে উপজেলা বিএনপি একাংশের নোয়াব আলী গ্রুপ ও জামায়াত-শিবির অবরোধ কর্মসূচি পালনসহ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জামায়ত-শিবির জীবননগর কলেজমোড়ে ও নোয়াব আলী গ্রুপ হাসাপাতাল গেটে পিকেটিং শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পৃথক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অবলিম্বে সর্বদলীয় মন্ত্রীসভা বাতিল এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আক্তার রিনি, পৌর বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর মশিউর রহমান, সহসভাপতি হাউর অর রশিদ, কাউন্সিলর হযরত আলী, কাউন্সিলর সামসুজ্জামান হান্নু, কাউন্সিলর আফতাব উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক আনিছুর রহমান শিপলু, উপজেলা যুবদল সভাপতি আবুল হোসেন তোয়া, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মজনুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, আপিল মাহমুদ, হারেজউদ্দিন মেম্বার, বিল্লাল হোসেন, ছাত্রদল নেতা হাসান, আশরাফুল ইসলাম রয়েল, শারিফুল ইসলাম, রনি, ইয়াদুল, তুহিন, মিনা, বাপ্পা, প্রমুখ।

কলেজমোড়ে অনুষ্ঠিত জামায়াত-শিবিরের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী উপজেলা আমির প্রভাষক খলিলুর রহমান, সেক্রেটারি মাও. ইসরাইল হোসেন, সহসেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল, পৌর আমির মাও. সাজেদুর রহমান, সেক্রেটারি গোলাম রসুল, উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি ফারুক হোসেন, পৌর সভাপতি ফিরোজ হোসেন, ইউনিয়ন আমির আশাবুল হক মল্লিক, আতিয়ার রহমান, আবুল কালাম, মোমিনুর ইসলাম প্রমুখ।