হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের কুষপুত্তলিকা দাহ : রাজধানীসহ কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষ

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি : চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বিক্ষোভ

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। রাজধানীতে সমাবেশ চলার সময় সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত হয়েছেন ৩১ জন। রাজধানীর জুরাইন, বরিশালের বাবুগঞ্জ, কুমিল্লা, পাবনা, ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৪৫ জন নেতা-কর্মীকে। সংঘর্ষের সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি স্থানে গুলিবর্ষণ করে। তবে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। পূর্বের মতো পুলিশি জোর বাধাও লক্ষ্য করা যায়নি। অবশ্য চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলটি শহীদ হাসান চত্বরে পৌঁছুলে পুলিশ বাধা দেয়ার চেস্টা করলেও মিছিলকারীরা তা সহজেই অতিক্রম করে কোর্টরোডে প্রবেশ করে। বিএনপির অপরাংশগুলোর মিছিলও প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জেলা বিএনপির একাংশ শহীদ হাসান চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেছে নির্বিঘ্নে।

001

রাজধানীতে থানায় থানায় ১৮ দল বিক্ষোভ করেছে। এর মধ্যে বিজয়নগরে ১৮ দলের ঝটিকা মিছিল পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। জুরাইন পুরাতন কৃষি ব্যাংকের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ধোলাইপাড় মোড় হয়ে গীত সঙ্গীত সিনেমা হলের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় দুজন জোট কর্মী আহত হন। গ্রেফতার করা হয় রুবেল নামের একজন বিএনপি কর্মীকে। নীলফামারীতে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে জাতীয় পার্টি (এ) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। রংপুরের পীরগাছা, সিলেট ও মাগুরায় এরশাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা বিএনপির একাংশও এরশাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম জেনারেল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু। বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সদর থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, এম এ সাঈদ, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আইয়ুব মল্লিক, সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল হাসান তনু, জেলা যুবদলের সদস্য মখলেছুজ্জামান মখলেছ, ফারুক মল্লিক, আরিফুজ্জামান পিন্টু, দিল্টন, আতিয়ার রহমান লিটন, গোলাম কিবরিয়া তিস্তা, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মিল্টন মল্লিক, মাগরিবুর রহমান, অহিদুল ইসলাম বাবু, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজার, সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য এমএ তালহা, যুগ্মআহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ, রাজীব খান, সুজন মালিক, মোমিনুর রহমান মোমিন, জেলা ওলামাদলের সভাপতি ফজলুর রহমান, হাফেজ আল জাহিদ, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক স্বাধীন অধিকারী, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, ফারুক আহম্মেদ, মোস্তাফিজুর রহমান হীরা, মাহবুবুর রহমান খোকন, রবিউল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, সাহাদৎ মাস্টার, নজরুল ইসলাম, মীর লিয়াকত আলী, আসলাম উদ্দীন, মিলন মিয়া, মাসুদ রানা, আইনুল ইসলাম, হাবলু, মো. সন্টু, পৌর বিএনপি নেতা মইদুল ইসলাম, মজনু মণ্ডল, শাহনেওয়াজ কালু, জাভেদ ইকবাল মিজান, শফিকুল কবীর জুয়েল, আহসান হাবীব মুক্তি, শ্রমিকদলের শহিদ হোসেন লাড্ডু প্রমুখ।

সমাবেশে প্রধান অতিথি অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা বলেন, এ সরকার জুলুমবাজ সরকার, অত্যাচারী সরকার। অত্যাচার, নির্যাতন করে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকার পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও পৌর ১৮ দলীয় জোট একাংশের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিকেল ৪টার দিকে কোর্ট মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ১৮ দলীয় জোটের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম মনি। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি একাংশের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম বকুল, যুগ্মসম্পাদক মাহামুদুল হক পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রউফুন নাহার রীনা, জেলা জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য অ্যাড. আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ মোল্লা, সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আব্দুর রউফ, পৌর জামায়াত ইসলামীর আমির মফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল, সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহাজাহান খান, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক মাও. আনোয়ার হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, চিৎলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শরিফউদ্দিন মুকুল, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইবাদত হোসেন, চিৎলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহাসিন আলী বিশ্বাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহ্বায়ক একরামূল হক, মিনহাজ উদ্দিন, জেলা তৃনমূল দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনু, দফতর সম্পাদক ইয়াছিন হাসান কাকন, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহাবুল হক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক হাজি রবিউল হক মল্লিক প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়কের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কোর্টমোড়স্থ ১ নং পানির ট্যাংক সংলগ্ন দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আইনুর হক পচা। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরশেদ আলী কালু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল হক ওহিদ, পৌর বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক পিন্টু মিয়া, ৮ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দীন, ৩ নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু পৌর তৃনমূল দলের আহ্বায়ক শহীদ আলীসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সৈয়দ কামরুজ্জামান সমর্থকরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে শহরের পান্না সিনেমাহল সড়কস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যলয়ের সামনে সমাবেশ করে। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এবিএম হাসান হাসু, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলী হোসেন, প্রচার সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল ওহাব মল্লিক, সহপ্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম মুকুট, স্বেচ্ছাসেবকদলের সহসভাপতি মহাসিন আলী বিশ্বাস, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মফিজুর রহমান মনা, শরিফুল আলম বিলাস ও মনিরুজ্জামান লিপটন। উপস্থিত ছিলেন ইকরামুল কবির ইকরা, দিপু, রুবেল, রাজ্জাক, বাবলু, রতন, শাহ আলম, আপন, সজল, শরিফুল, সবুজ, সোহাগ, রহিম, রেজাউল ও হাবলু। বক্তারা অবিলম্বে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মুক্তি, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও সম্প্রসারিত মহাজোটের মন্ত্রীসভা বাতিল এবং প্রধানামন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে আগামী নির্বাচনের তফশিল দেয়ার আহ্বান জানান।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গতকাল রোববার বিকেলে দর্শনা রেলইয়ার্ড থেকে ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রধান সড়ক হয়ে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে সমাবেশ করেছে। দর্শনা পৌর বিএনপি একাংশের সভাপতি রহম আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি রুহুল আমীন, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক সাবু তরফদার, দর্শনা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, অপরাংশের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল ইসলাম খোকন, দর্শনা পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন, জামায়াত নেতা আবুজার গেফারী, বিএনপি নেতা শফিউল্লাহ, নজির আহম্মেদ, আব্দুল মান্নান, লুতফর রহমান, হাবিবুর রহমান বুলেট, ইকবাল হোসেন, রফিকুল আলম, রেজাউল ইসলাম, মুহিত, যুবদল নেতা নাহারুল ইসলাম শিক্ষক, সরাজ, ফারুক হোসেন, মোমিন, শহিদুল, শরীফ, মনিরুল, ছাত্রদল নেতা জাহান আলী, ব্রাইট প্রমুখ।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, রোববার জীবননগর উপজেলা বিএনপি (বাবু খান গ্রুপ) উপজেলা বিএনপির একাংশ (নোয়াব আলী গ্রুপ), পৌর বিএনপি (অহিদুল-টিপু গ্রুপ) ও জামায়াত-শিবির পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সকালে উপজেলা শহরের হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির (বাবু খান গ্রুপ) অফিস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকনের নেতৃত্বে মিছিলটি রাজপথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি জাফর আলী মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খাঁন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সীমান্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, উথলী ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান, জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক দ্দোজাউদ্দিন ও পৌর কাউন্সিলর কাজি নাসির ইকবাল ঠাণ্ডু। উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা শফিউদ্দিন, ইঊনুছ আলী, বকুল, সবুর, আলতাব, তালেব, মিজান, বিপুল, রাসেল, নূর, মুজাহিদ, ইবরা, আরু, মির্জা শিলন, বাচ্চু, জীবন, রিয়াজুল, আলম, টিটু মেম্বার, সামাদ, কামাল, ওদুদ, টুটুল, মাহতাব, ছাত্রদল নেতা আল ইমরান সুমন, মামুনুর রশিদ, তরিকুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, বাবু, সাইফুল, নাজমুল, আনার, শাকিল, মামুন, সোহেল, আরিফ, সন্দ্বীপ, লিটন, রাজা, লাল মিয়া প্রমুখ।

পৌর বিএনপি সভাপতি সাহজাহান কবীর ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন এবং উপজেলা বিএনপির একাংশ (অহিদুল-টিপু) গ্র“পের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে পৌর বিএনপি সভাপতি শাহজাহান কবীর, সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, অহিদুল-টিপু গ্র“পের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবদার রহমান, ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর হাসান আলী, পৌর বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান, রবি সর্দার, পৌর কাউন্সিলর নবী শাহ্, আহাম্মদ আলী, আব্দুল অলিম, কিরাউদ্দিন, হাসানুজ্জামান, রবিউল ইসলাম রবু, শহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বদর উদ্দিন বাদল, হাফিজুর রহমান, আতিয়ার মেম্বার, জেমস, ডালিম, টোকন, শামীম, ফজলুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, আমিনুল মেম্বার, সিরাজুল ইসলাম, শাহাজান মেম্বার, যুবদল নেতা মনির, হামিদ, আজমন, সাইদুর, আরিফ, ইছাহাক, আবুল, উপজেলা বিএনপি একাংশের আব্দুর রশিদ, মশিউর রহমান, নাসির, আয়তুল মেম্বার, শ্রমিক নেতা আব্দুস সামাদ, আশাবুল হক, ছাত্রদল নেতা জাকির আহমেদ শামীম, খোকন, ইকরামুল, জুয়েল, রয়েল, জাহিদ, সাইদুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি পৌর মেয়র নোয়াব আলীর নেতৃত্বে বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ শেষে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি পৌর মেয়র নোয়াব আলী, উপজেলা মহিলা দল সভানেত্রী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আক্তার রিনি, পৌর বিএনপি সভাপতি পৌর প্যানেল মেয়র মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আনিছুর রহমান শিপলু, পৌর কাউন্সিলর হযরত আলী, কাউন্সিলর সামসুজ্জামান হান্নু, কাউন্সিলর মাহফুজা খাতুন বিউটি, জলি খাতুন, নাহিদা আক্তার, হারুন অর রশিদ, মজনুর রহমান, যুবদল নেতা আপিল মাহমুদ, হারেজ মেম্বার, আবু বকর সিদ্দিক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন তোয়া, ছাত্রদল নেতা হাসান, রয়েল, বাপ্পা, সুমন, ইয়াদুল, বিশা, সনে, রাকিব, সুজন প্রমুখ।

এ ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির খলিলুর রহমান ও সেক্রেটারি মাও. ইসরাইল হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী উপজেলা আমির প্রভাষক খলিলুর রহমান, সেক্রেটারি মাও. ইসরাইল হোসেন, সহসেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন আমির ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন, হাসাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, পৌর সেক্রেটারি গোলাম রসুল, সীমান্ত ইউনিয়ন আমির আতিয়ার রহমান, উথলী ইউনিয়ন আমির আসাবুল হক মল্লিক, বাঁকা ইউনিয়ন সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন, হাসাদাহ ইউনিয়ন আমির সাইদুর রহমান প্রমুখ।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে  আলমডাঙ্গায় গতকাল রোববার বিকেলে বিএনপির দু গ্রুপের নেতৃতে ১৮ দল পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। ১৮ দলীয় ঐক্যজোটের নেতৃত্বে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে দুদু গ্রুপের বিক্ষোভ মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক দক্ষিণ করে সোনালী ব্যাংকের সামনে সমাবেশ করে। পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির নুর মোহাম্মদ টিপু, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল জব্বার, উপজেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, কেন্দ্রীয় যুবদলের নির্বাহী সদস্য উপজেলা আহ্বায়ক এমদাদুল হক ডাবু, সাব্কে চেয়ারম্যান আজিবার রহমান, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি দারুস্ সালাম চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা রেজাউল করিম। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা বিল্লাল হোসেন, শামসুল আরেফিন, আব্দুস সোহবান, মহির উদ্দিন, আমজাদ হোসেন, ডা. আব্দুল লতিফ, শহিদুদ্দোজা মিল্টন, আব্দুল ওহাব মাস্টার, আলাউদ্দিন, জামায়াতের ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল মান্নান, আব্দুল কাদের, মানোয়ার হোসেন, জামিরুল ইসলাম, শওকত আলী, বিল্লাল হোসেন, আশরাফুল আলম, সেলিম রেজা, পৌর বিএনপির ওয়ার্ড নেতা একরামূল হক বুলু, হাফিজুর রহমান চমক, রেজাউল হক, জিল্লুর রহমান ওল্টু, মীর শফিকুল আব্দুর রশিদ, রেজাউল ইঞ্জিনিয়ার, শরিফুল ইসলাম, ইউনিয়ন নেতা জমির উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহবায়ক মিল্টন মল্লিক, মাগরিবুর রহমান, গোলাম হোসেন, ওহিদুল ইসলাম বাবু, নাসির উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা তৌফিক খান, রহিদ, লিমন, শওকত, ডালিম, বাপ্পী, শুভ, সজিব, উজ্জ্বল, রাজন, আলামিন, শান্ত, রাশেদ, তনু প্রমুখ।

অন্যদিকে একই সময় বিএনপির অহিদুল গ্রুপও শহরে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র মীর মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাইস্কুলমাঠে সমাবেশ করে। প্রধান অতিথি ছিলেন মীর উদ্দিন। উপজেলা বিএনপির এ অংশের সভাপতি সানোয়ার হোসেন লাল্ডুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, জামায়াত নেতা ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর ইসমাইল হোসেন, জামায়াতের পৌর আমির আব্দুল জলিল, পৌর জামায়াতের নায়েবে আমির নজরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বিশ্বাস, জামায়াত নেতা শফি উদ্দিন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক কামরুজ্জামান বকুল, আয়ুব হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক কমিশনার, আলী আজগর সাচ্চু, নাসির উদ্দিন, ঝন্টু মালিতা, মহাবুল মেম্বার। রফিকুল ইসলামের উপস্থপনায় আরো বক্তব্য রাখেন শমসের আলী, আলম হোসেন, হাবিবুর রহমান, হাসিবুল ইসলাম, শামিম মাস্টার, আব্দুর রশিদ, কনক, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, বাবুল মিয়া, মনির হোসেন, ছাত্রদল নেতা ফারুকউজ্জামান, মুন, সোহেল, রাজু, শিবির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাগর, মিল্টন, বাদশা প্রমুখ।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, বিকেলে মেহেরপুরের কালাচাঁদপুর গ্রামে ১৮ দলীয় জোট বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। পৌর সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কালাচাঁদপুরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর পৌর সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের  সাবেক এমপি বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাও. সিদ্দিকুর রহমান। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির সিরাজুল ইসলাম, সেক্রেটারি ফারুক হুসাইন, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. রুহুল আমিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওবাইদুল্লাহ সেন্টু, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম, সদর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. জামালউদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবির মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সাইফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদল নেতা আহমেদ রাজিব খান, সোহেল হোসেন প্রমুখ।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল রোববার সকাল ১০টায় মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের কোমরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়মাঠে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ১৮ দলীয় জোট। কোমরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের মুজিবনগর উপজেলা আমির মশিউর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি মাসুদ অরুন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাও. সিদ্দিকুর রহমান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, জেলা সংগ্রাম পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক ইলিয়াছ হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. রুহুল আমিন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দিন বিশ্বাস প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবু ওবাইদুল্লাহ সেন্টু, জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক মাহবুবুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খান জাহান আলী, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম, জেলা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক আহসান হাবীব সোনা, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, বিএনপি নেতা আশরাফুল হক কালু, মেহেদী হাসান রোকন, মুজিবনগর উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল খান প্রমুখ। পরে মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংলাপের নাটক করে জনগণকে ধোকা দিয়েছে। কিন্তু মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে তারা একদলীয় নির্বাচন করার জন্য ষড়ন্ত্রের জাল বুনেই চলেছে। অন্তর্বতীকালীন সরকার অবৈধ আখ্যায়িত করে তিনি আরো বলেন, এদেশে পাতানো কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। তফশিল ঘোষণা হলেই গাড়াডোব থেকে খলিশাকুণ্ডিঘাট পর্যন্ত প্রধান সড়ক অচল করে দেয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাজিপুরে গতকাল রোববার সকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথাগুলো বলেন। এর আগে কাজিপুর ডিগ্রি কলেজমাঠ থেকে আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সড়কের টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন নেতাকর্মীরা। কাজিপুর ইউনিয়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রাহাতুল্লাহ মাস্টারের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দাল হকের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা বিএনপি সহসভাপতি আব্দুর রউফ, গাংনী পৌর বিএনপি সভাপতি ইনসারুল হক ইন্সু, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বুলবুল, পৌর যুবদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ হীল মারুফ পলাশ, সাহারবাটি ইউপি বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, কাজিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মফিজুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম রবি, কামরুল ইসলাম ও জাহিদসহ বিএনপি-জামায়াত এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে একই দাবিতে জেলা বিএনপির সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের উদ্যোগে গতকাল রোববার বিকেলে বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাসস্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নারীনেত্রী নুরুন্নাহারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি জুলফিকার আলী ভুট্টো, জেলা জাসাসের যুগ্মসম্পাদক নুরুজ্জামান হকা, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি নেতা আফজাল হোসেন মাস্টার, বামন্দী ইউপি বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর রশিদ বাচ্চু, ছাত্রদল নেতা চপল বিশ্বাস, হাসের আলী, তোহিদুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। অন্যথায় জাভেদ মাসুদ মিল্টনের নেতৃত্বে গাংনী উপজেলা অবরোধ করে রাখা হবে।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। রোববার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমান। মিছিলে বিএনপি ও জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোটের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেয়। মিছিল শেষে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতা জিয়াউল ইসলাম ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক, আব্দুল মতলেব বিশ্বাস, জাহিদুজ্জামান মনা, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আব্দুল আলীম, মোয়াজ্জেম হোসেন, জামায়াত নেতা আলী আজম বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা সর্বদলীয় সরকারের নামে দলীয় সরকার গঠন করে অবৈধভাবে দেশ পরিচালনা করছে। ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার এ সাজানো নীলনকশার নির্বাচন বাস্তবায়ন করতে দেবে না।

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কালীগঞ্জে ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জোটের উদ্যোগে বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির থানা রোডস্থ কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলপূর্ব সমাবেশে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক মেয়র মাহবুবার রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির প্রভাষক মাও. ওলিউর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ, জোটের সংগ্রাম কমিটির যুগ্মআহ্বায়ক মাও. শহীদুজ্জামান, মাও. আজিজুর রহমান, আনোয়ার হোসেন রবি, আশরাফুজ্জামান লাল, গোলাম রব্বানী শিবির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, শাহজাহান আলী প্রমুখ।

দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদায় ১৮ দলীয় ঐক্যজোট বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। দামুড়হুদা ব্রিজমোড়ে আড়তপট্টিতে ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী শাহ’র সভাপতিত্বে জামায়াত-বিএনপির নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম কমিটির পক্ষে জামায়াতে ইসলামীর থানা আমির নায়েব আলী, সেক্রেটারি আব্দুল গফুর, হাউলী জামায়াত আমির নজরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, সংগ্রাম কমিটির যুগ্মআহ্বায়ক যুবদল সেক্রেটারি রফিকুল হাসান তনু, সদর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুর রহমান মালিথা, সাবেক সেক্রেটারি একরামুল হক, হাউলি ইউনিয়ন বিএনপির একাংশের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সহসভাপতি মহি উদ্দীন, সহসম্পাদক জুলফিকার আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবুল কাশেম, সেক্রেটারি শামসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ বিশ্বাস, নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি, সেক্রেটারি শামসুল আলম মেম্বার, কুড়ুলগাছি জামায়াতে ইসলামীর ইউনিয়ন আমির সরফরাজ উদ্দিন, সেক্রেটারি আব্দুর রশিদ, জুড়ানপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জুলমত মেম্বার, যুবদল সভাপতি সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা মাও. আব্দুস সাত্তার, আবুল বাশার, আজিজুল হক, মনিরুল আলম মুকুল, মহি উদ্দীন, যুবদল নেতা আবুল বাশার। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন, রকিবুল হাসান, আব্দুল গফুর, দলু, আলী আহাম্মদ, ইছাহক আলী, যুবদল নেতা  একরামুল মেম্বার, প্রভাষক আবুল হাসেম, পিন্টু, ঝিলন, আতিয়ার রহমান চুন্নু, আনছার আলী, মনোয়ার হোসেন হাবু, রুহুল আমিন সজল, টোটন, কালু, সাঈদ মণ্ডল, ছাত্রদল নেতা হবু, ফিরোজ সরোয়ার মন্টু, মিল্টন, আরিফ, তাজ আলম, ডলার, জুয়েল, জুবায়ের, জসিম, মতিয়ার, জয়নাল, রানা, নুর ইসলাম, আলিম, হাসান, মতিয়ার, শিবির নেতা বাকী বিল্লাহ্ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম হোসেন।