হাসপাতালের কেবিন নিয়ে বিরোধ : দীর্ঘ সময় ধরে মারামারি

 

বরাদ্দ নিয়ে কেবিনে রোগী রাখলেও নতুন ভর্তি হয়েই কেবিন দখলের জন্য পেশিশক্তি প্রয়োগ!

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কেবিন নিয়ে দু রোগীর লোকজনের মধ্যে তুমুল মারামারি হয়েছে। গতরাত সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের সামনেই মারামারি চলে। পুলিশ উপস্থিত হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে লেগে যায় বহু সময়। অবাক হলেও সত্য যে, প্রথমে দু কনস্টেবল ঘটনাস্থলে পৌছুলে তাদের হাতে থাকা লাঠিও পড়ে টানাটানির মধ্যে। মারামারির সময় উভয়পক্ষই নিজেদের ক্ষমতাসীনদলের বলে পরিচয় দিয়ে হুঙ্কার দিতে থাকে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটির মৃত আইজদ্দীনের ছেলে জাকির হোসেন (৪৫) গত ৯ জুলাই সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন থেকে ৭নং কেবিনটি বরাদ্দ নিয়ে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে গতরাত ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফার্মপাড়ার আব্দুস সামাদকে (৭০)। তিনি মৃত মহরম আলীর ছেলে। ভর্তির পর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে নেয়া হয়। ঠাসাঠাসি রোগী। আব্দুস সামাদকে রাখবেন কোথায়? মোবাইলফোনে যোগাযোগ করেন রাজনৈতিক ওপর মহলে। এরই এক পর্যায়ে আব্দুস সামাদকে ৭নং কেবিনে নিয়ে জোর করেই রাখতে চান তার লোকজন। প্রতিবাদ জানান জাকির হোসেনের লোকজন। শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। উভয়পক্ষই ক্ষমতাসীন দলের বলে হুঙ্কার দিয়ে হামলা-পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়ে। রোগী জাকির হোসেনের লোকজনই বেশি মার খেয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, মারামারির সময় উভয়পক্ষ রোগীদের ওপরও উঠে পড়ে। পুলিশের দু কনস্টেবল এ সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছুলেও তাদেরকে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পুলিশের সামনেই চলতে থাকে হামলা পাল্টা হামলার পালা। পরে অবশ্য শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। পুলিশ উভয়কে শান্ত করলেও উত্তেজনা অব্যাহত ছিলো। শেষ পর্যন্ত কেবিনে কেবিনের রোগীকেই রাখা হয়েছে। নতুন রোগীর জন্য মেডিসিন ওয়ার্ডের একটি শয্যা দেয়া হয়েছে।