হাসতে হাসতে জ্ঞানহারা ৫ শিশু শিক্ষার্থী : হাসপাতালে ভর্তি

দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণহিস্ট্রিয়া : স্থানীয়দের ধারণা জিনের আছর

 

বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ স্কুলছাত্রী হাসতে হাসতে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে আসার পরপরই তারা অনেকটা আকস্মিকভাবেই হাসতে হাসতে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকেরা এ ঘটনাকে গণহিস্ট্রিয়া বলে দাবি করলেও এলাকাবাসীর ধারণা তাদেরকে জিন দূর থেকে আছর করেছে। অসুস্থ ওই ৫ শিক্ষার্থীরা হলো- হাতিভাঙ্গা গ্রামের জমাত আলীর মেয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী জাহানারা খাতুন (১১), একই গ্রামের মসলেমের মেয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী কাঞ্চন মালা (১২), আশাদুলের মেয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী রুমানা (১০), শহিদুলের মেয়ে ৩য় শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া (৯), ও ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী আ. রশিদের মেয়ে রাফিজা (১২)। খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে ওই স্কুলে ছুটে যান দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নূরুল হাফিজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. আব্দুল লতিফ। অসুস্থদের মধ্যে অন্যরা মুখ না খুললেও ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী রাফিজা জানায়, ইয়া একটি বড়লোক। তার হাতে বড় বড় নখ আছে। হাত দুটিও বেশ বড়। তাকে দূর থেকে হাত নেড়ে ভয় দেখাচ্ছে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. নূরুন্নাহার নদী বলেন, জিনের আছরের কথাটি সঠিক নয়। এটা মূলত হিস্ট্রিয়া নামের একটি রোগ। দু দিন আগে তাদেরকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। যার ফলে শারীরিক দুর্বলতা থেকেও এরকম হতে পারে। এ অবস্থায় তাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করাতে হবে এবং একটু বিশ্রামে রাখলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুকুজ্জামান বলেন, তারা সকালে স্কুলে আসার পরপরই আকস্মিকভাবে হাসা শুরু করে এবং হাসতে হাসতে বেহুশ হয়ে পড়ে। এদিকে স্কুলের ছাত্রীদের জিনে আছর করছে এ খবর বাইরে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার অধিকাংশ অভিভাবকই তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে চলে যায়।