হরিণাকুণ্ডু ও কোটচাঁদপুরেপৃথক বন্দুকযুদ্ধ : দু চরমপন্থি ক্যাডার নিহত

 

 

ঝিনাইদহ/কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি:ঝিনাইদহে পুলিশের সাথে পৃথক স্থানে বন্দুকযুদ্ধেঅস্ত্রধারী দু চরমপন্থি ক্যাডার নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোরে জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রিশখালী আমতলা ও কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া গ্রামের মাঠে পৃথক এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

বন্দুকযুদ্ধের এ তথ্য জানিয়ে পুলিশ বলেছে, ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি, পাঁচ রাউণ্ড গুলি ও ছয়টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- কোর্টচাঁদপুর উপজেলার ছয়খাদা-শ্রীরামপুর গ্রামের ইসলাম উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আবদুর রশিদ (৩০) ও একই উপজেলার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে হযরত আলী (৩৮)। তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের দাবি, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি জনযুদ্ধের আঞ্চলিক ক্যাডার হিসেবে দীর্ঘদিন চাঁদাবাজি, মুক্তিপণ, অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো। দুটি ঘটনায় এক এসআই ও তিন পুলিশ কনস্টেবল সামান্য আহত হয়েছেন।

ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছিলো। তারা রিশখালী আমতলা এলাকায় পৌঁছুলে একদল চরমপন্থির সাথে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়। এসময় চরমপন্থিরা পুলিশের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে ১০/১২ মিনিট বন্দুকযুদ্ধ চলে। এরপর চরমপন্থিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ, একটি এলজি, দু রাউন্ড গুলি ও ছয়টি হাতবোমা উদ্ধার করে। এ সময় কনস্টেবল শরিফুল ইসলাম ও শফিক আহমেদ আহত হন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

এদিকে কোটচাঁদপুর থানার ওসি ফজলুল রহমান জানান, উপজেলার দোড়া গ্রামের মাঠে একদল চরমপন্থি গোপন বেঠক করছে, এমন খবর পেয়ে ভোররাতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় চরমপন্থিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। ১৫ মিনিটের বন্দুকযুদ্ধ শেষে পুলিশ সেখান থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে আহত দু পুলিশ সদস্য হলেন- এসআই নাজমুল হাসান ও কনস্টেবল ফিরোজ আহমেদ। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে আট রাউন্ড রাইফেল ও ৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেন ওসি ফজলুল।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে গত বৃহস্পতিবার ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের হজরত আলী ও ছয়খাদা-শ্রীরামপুর গ্রামের আবদুর রশিদ নামের দু ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন।