হরিণাকুণ্ডুতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসটি এক মাস ধরে বন্ধ

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডতে সাবরেজিস্ট্রি অফিস প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনযুগে ১৪ মাসের জন্য একজন মাত্র সাবরেজিস্ট্রার নিয়োগ দেয়া হয়। অবশিষ্ট সময়ে অফিসটি পরিচালিত হয় অন্য অফিসের সাবরেজিস্ট্রারকে খণ্ডকালীন দায়িত্ব প্রদান করে। এ কারণে হরিণাকুণ্ডুর ভূমি ক্রেতা- বিক্রতাদের পোয়াতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব আয় থেকে। ২০১২ সালে ২৭ মে শাহিদুর রহমান নামে একজন পূর্ণাঙ্গ অফিসার মাত্র ১৪ মাস দাযিত্ব পালন শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে বদলি করা হয়। সম্প্রতি এক মাসের বেশি সময় ধরে জমি রেজিস্ট্রিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে সাব রেজিস্ট্রারের সম্পর্কের অবনতির জেরধরে হরিণাকুণ্ডতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী শৈলকুপার সাবরেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলাম এখানে অফিস করা বন্ধ করে দেন। মাঝে তিনদিন মাগুরা থেকে সুব্রত কুমার দাস নামে একজন সাবরেজিস্ট্রার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে এলেও তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় দলিল লেখকগণ জমি রেজিস্ট্রি করা থেকে বিরত থাকেন। দীর্ঘদিন সাবরেজিস্ট্রার না থাকায় সরকার অন্তত কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হয়েছে বলে জানা যায়। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শ শ জমি ক্রেতা-বিক্রেতা। বেকার হয়ে অসহায় জীবন কাটাচ্ছেন। ৫৩ জন দলিল লেখকসহ শতাধিক সহকারীগণ। সাবরেজিস্ট্রি অফিসে জরুরি ভিত্তিতে সাবরেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছে।