হরতাল বেড়েছে আরো ১২ ঘণ্টা : পেট্রোল বোমা হামলায় দুজন নিহত

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আহুত হরতাল ঢিলেঢালাভাবে পালিত : চুয়াডাঙ্গায় মিছিল :  সিইসির কুশপুত্তলিকা দাহ

স্টাফ রিপোর্টার: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল বাতিলের দাবি এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের পাশাপাশি টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল আরও ১২ ঘণ্টা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টায় পূর্বঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১২ ঘণ্টা বাড়ানোর কারণে তা শেষ হবে আজ সন্ধ্যায় ৬টায়।

অবরোধ ও হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা বিএনপি, জেলা যুবদলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেতার কার্যালয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয় বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে গতকাল ঢিলেঢালাভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। গতরাত ১০টার দিকে একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বাস চলেনি। হাতে গোনা কিছু ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেলেও অফিস আদালতে স্বাভাবিক কাজ হয়নি। তবে ব্যাংক-বীমায় লেনদেন হয়েছে তুলনামূলক কম।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া যাত্রাসিদ্দি নামক স্থানে সোমবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা একটি কাভার্ডভ্যানে পেট্রোল বোমার হামলা চালালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এর চালক শাহ আলম (৩০) নিহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে কাভার্ভ ভ্যানের হেলপার আল আমিনকে (২৫)। এদিকে, সিরাজগঞ্জে ট্রাকে হরতালকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। নলকা-হাটিকুমরুল মহাসড়কের সলঙ্গা থানার হোড়গাড়ি এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এ হামলার  ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মিলন (২৫)। তিনি একজন আলু ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে। চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের পেট্রোল বোমা হামলায় মিতুল নামে এক টেম্পো চালকের শরীরের ৮০ শতাংশই ঝলসে গেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা অব্যাহত আছে। সিরাজগঞ্জে গত রাতে হতাহতদের পরিচয় তাত্ক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও পরে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি আলু ব্যবসায়ী এবং ট্রাকে করে আলু নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন। আহত তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট হরতাল বাড়ানোর পাশাপাশি নির্বাচনের দিন সহিংসতায় নিহত ও আহতদের নেতাকর্মীদের জন্য শুক্রবার দেশব্যাপি মসজিদ, মন্দির প্যাগোডায় দোয়া প্রার্থনা এবং পরের দিন শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান। এ সময় তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেনসহ নেতাদের গ্রেফতার এবং সারাদেশে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে হরতাল ১২ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া পূর্বঘোষিত অবরোধ কর্মসূচিও বহাল থাকবে। সেলিমা রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি সম্পূর্ণরূপে হতাশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যায়িত করে কঠোর হস্তে দমনের যে হুমকি দিয়েছেন তা বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও জটিল, অসহিঞ্চু ও অস্থিতিশীল করে তুলবে বলে দেশবাসী মনে করে। প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী নেতাদের হলফনামায় অবৈধ উপায়ে অর্জিত তাদের সম্পদের হিসাব সম্পর্কে যে উত্তর দিয়েছেন তাতে জাতি কেবল বিস্মিত হয়নি, দুর্নীতিকে আরও বেশি উৎসাহিত ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপি আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসী এবং যৌথবাহিনীর সদস্যরা দলীয় বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে যে নারকীয় তাণ্ডব ও গুলি চালিয়ে ১৮ দলীয় জোটের ২৪ নেতাকর্মীকে নির্মম ও পৈশাচিকভাবে হত্যা করেছে তা নজিরবিহীন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী পাণ্ডারা ঝিনাইদহে প্রায় ৪০ নেতাকর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। হবিগঞ্জ ও নোয়াখালীসহ সারাদেশে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও গণগ্রেফতার অব্যাহত আছে। সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ দলীয় জোটের তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মুক্তিযুদ্ধের তথাকথিত চেতনা নিয়ে যারা বড় বড় বুলি আওড়ায় তাদের হাতে আজ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নামক শব্দগুলোর মৃত্যু ঘটেছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দীর করার প্রতিবাদে ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন বাতিল, নতুন তফশিল ঘোষণা, নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা বাতিল এবং নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবরোধের পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ২য় দিন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহীদ হাসান চত্বরে সমাবেশ করে। সমাবেশ চলাকালীন ভোটারশূন্য নির্বাচনে ভোট পরিচালনার প্রতিবাদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ এবং চুয়াডাঙ্গায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি হরতাল ও অবরোধের সমর্থনে শহীদ আবুল কাশেম সড়কের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে যায়। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো এবং নিজ জেলা চুয়াডাঙ্গায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম. জেনারেল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক অ্যাড. আ.স.ম আব্দুর রউফের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মন্টু, পৌর বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. মইনুল হোসেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাড. আনসার আলী, অ্যাড. এখলাছ উদ্দিন কাজল, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, পৌর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন, জেলা যুবদল নেতা আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, মোখলেছুজ্জামান মোখলেছ, গোলাম কিবরিয়া তিস্তা, তৌফিকুজ্জামান তৌফিক, আরিফুজ্জামান পিন্টু, শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা জাসাস সভাপতি শহিদুল হক বিশ্বাস, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক এমএ তালহা, যুগ্মআহ্বায়ক মঞ্জুরুল জাহিদ, রাজিব খান, সুজন মালিক, পদ্মবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আতিয়ার রহমান, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন, মোমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাহাদৎ হোসেন মাস্টার, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া, পৌর বিএনপির ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ কালু প্রমুখ। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি আবার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

হরতাল ও অবরোধের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অটোরিকশা ও রিকশা-ভ্যান চলাচল করছে। অবরোধের কারণে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে শহরের কেদারগঞ্জস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে জেলা যুবদল একাংশের নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদল একাংশের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন ও চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদল একাংশের সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু। মিছিলটি শহরের শহীদ হাসান চত্বরে পৌঁছুলে পুলিশ বাধা প্রদান করে। এ সময় পুলিশি বাধা ভেদ করে মিছিলকারীরা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা শহরের কোর্টমোড় এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে জেলা যুবদল একাংশের আহ্বায়কের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. এমএম শাহাজাহান মুকুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক মাহামুদুল হক পল্টু। বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুল হক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক রবিউল হক দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু, আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মীর উজ্জ্বল, দর্শনা পৌর যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক সোহেল তরফদার, আসাদ,  সাত্তার, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক সাইদূর রহমান, জয়নাল, রফিকুল, লাল, পৌর যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক আজিজুল, তানভির, সোহেল, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক আনিস, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক শমসের, উজ্জ্বল খান, জাহাঙ্গীর, পৌর যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মনির, জীবননগর উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মঈন, জেলা যুবদলের সদস্য দিনু, আতিয়ার, আরিফ, মোবা, ঝন্টু, আরশেদ, সালাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি মান্নানসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা নীলনকশা ও তামাশার নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানান।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জেলা জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কোর্টমোড়স্থ বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আইনুর হোসেন পচা। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জেলা জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জেলা জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরশেদ আলী কালু, জেলা কৃষকদলের সভাপতি হামিদুল হক নেতাজী, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জেলা তৃণমূল দল নেতা আফতাব উদ্দীন পিন্টু প্রমুখ।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, অবরোধ ও হরতালের সমর্থনে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে শহরের এইচএসএস সড়ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতা এমএ মজিদের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মডার্ণমোড়ে ফিরে সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. এমএ মজিদ, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, জেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক আহসান হাবিব রনক ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক আবুল বাসার বাঁশি। বক্তারা বিরোধী দলবিহীন প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন করে নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে ১৮ দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনে জেলা শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রিকশা-ভ্যান চলাচল করলেও দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ট্রেন চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে নিরুত্তাপ হরতাল পালিত হচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা মাঠে না থাকায় ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল দ্বিতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবারও মেহেরপুরে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে। সকাল থেকে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। তবে ইজিবাইকসহ ছোট ছোট বেশ কিছু যান শহরের চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্যাংক বীমায় সন্তর্পনে লেনদেন হয়েছে। অফিস আদালত খোলা ছিলো। দুপুরের আগ পর্যন্ত দোকানপাট খুব বেশি খোলা না থাকলেও বিকেলের দিকে অধিকাংশ দোকানপাট খুলতে দেখা যায়। এদিনও শহরে হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মিটিং মিছিল করতে দেখা যায়নি। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খরব পাওয়া যায়নি। দিনভর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শহরসহ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল দিকে দেখা গেছে।