হরতালে মানুষ হত্যার দায় খালেদা জিয়াকে নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হরতালের নামে মানুষ হত্যার দায়-দায়িত্ব বিরোধী দলীয় নেতাকেই নিতে হবে। এ হত্যার বিচার একদিন হবে। জনগণের স্বার্থেই বিরোধী দলীয় নেত্রীর কাছে হরতাল প্রত্যাহারের আবেদন করেও সাড়া পাইনি। আমাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জনগণের কল্যাণ করার জন্য আল্লাহ আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে বার বার বাঁচিয়ে রেখেছেন। উনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চান। হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ চান। যতোই ষড়যন্ত্র করা হোক, যতোক্ষণ জীবন আছে ততোক্ষণ আমাকে কেউ জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। আমি জনগণের কল্যাণেই জীবনকে উত্সর্গ করতে চাই।

ভোট কারচুপি বা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারবে না বলেই নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য গো ধরে বসে আছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চান না বলে নির্বাচনে আসতে চান না বিরোধী দলীয় নেত্রী। আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাট তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়মাঠে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সুভাষ চন্দ্র জয়ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াস সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, উপদেষ্টমন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহম্মেদ এমপি, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, এস.এম কামাল হোসেন, বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, সোলায়মান বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়। সকাল থেকেই ব্যান্ডপার্টি ও বাদ্য যন্ত্র, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও জয়ের ছবি নিয়ে উত্সবের আমেজে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ সমবেত হতে থাকেন জনসভা স্থলে। দুপুরের আগেই জনসভার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জনসভায় আগত লোকজন পার্শ্ববর্তী কাজী মন্টু কলেজ, ভাঙ্গারহাট বাজারসহ আশপাশের গ্রামে অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন।