সড়ক দুর্ঘটনায় হত্যা মামলা আর নয়

 

স্টার্ফ রিপোর্টার: সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ নিহত হলে হত্যামামলা হিসেবে বিবেচিত হবে না বলে পরিবহন মালিকদের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। তিনি বলেন, কেউ ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। গতকাল বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময়সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ আশ্বাসের কথা জানান। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ শ্রমিকনেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দুর্ঘটনাজনিত কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় করা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। এ ছাড়া এ সংক্রান্ত মামলাগুলো আর ৩০২ ধারায় না দেয়ারও দাবি জানান তারা। তাদের এই দাবি মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২৩ সেপ্টেম্বর সারাদেশে ধর্মঘট ডেকেছে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। এই আট দফা দাবি পর্যালোচনার জন্যই গতকাল ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
শ্রমিকদের এসব দাবি মেনে নেয়া দুর্ঘটনাকে উস্কে দেয়া কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের মামলা প্রথমে ৩০৪ ধারায় দেয়া হবে। তারপর প্রাথমিক তদন্তে যদি চালকের দোষ পাওয়া যায়, তবেই তা ৩০২ ধারায় চলে যাবে। শ্রমিকনেতারা দাবি করেন, তিন মাসের মধ্যে সব পরিবহন শ্রমিককে নিয়োগপত্র দিতে হবে। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় নিবন্ধন তল্লাশি করার নামে পুলিশের হয়রানি বন্ধেরও দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে বিতর্কিত ফেনী মডেল থানার ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এ ধরনের মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকনেতারা। এসব মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মামলাগুলো বিচারাধীন, তাই এ বিষয়ে এখন কিছু বলা যাবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শ্রমিকনেতারা আরো দাবি করেছেন, হাইওয়ে পুলিশের দায়ের করা মামলা নিজ নিজ জেলায় নিষ্পত্তি করতে হবে, বাস-ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ছিনতাইকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে এবং তদন্ত ছাড়া ছিনতাই বা ডাকাতির মামলায় কোনো চালক বা সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করা যাবে না। তিনি বলেন, এসব দাবির ব্যাপারেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নীতিগত ব্যবস্থা নেবে। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকনেতারা বলেন, বৈঠকের বিষয়গুলোর রেজুলেশন স্বাক্ষরিত হয়ে তাদের কাছে পৌঁছুলে তারা ২৩ সেপ্টেম্বরের ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন, অন্যথায় তা আপাতত স্থগিত হয়ে থাকবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *