স্বামীর নির্যাতনে জ্ঞান হারানো রিনাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসার টাকা নিলো প্রতারক

স্টাফ রিপোর্টার: স্বামীগৃহে নির্যাতনে জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর প্রতারণার শিকার হয়েছে অসহায় রিনা খাতুন (১৮)। তাকে ভর্তি করতে সহায়তা করে ক্ষণিকের আপনজন হয়ে ওষুধ কেনার ৫শ টাকা নিয়ে সটকেছে এক যুবক। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা থানা কাউন্সিলপাড়ার শাজাহানের মেয়ে রিনা খাতুনের সাথে ৬ মাস আগে দামুড়হুদা কাদিপুরের মুক্তার আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় দেনমহর নিয়ে মতবিরোধ দানা বাধে। যৌতুকের দাবি তখন না থাকলেও দেনমহর নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে কথায় কথায় নির্যাতন করা হয় রিনাকে। গতপরশু বুধবার রাতে স্বামী মুক্তার নির্যাতন করে। বৃহস্পতিবার সকালেও নির্যাতন করে। এতে জ্ঞান হারায় রিনা। তাকে সেখান তেকে তার মা উদ্ধার করে। অটোযোগে চুয়াডাঙ্গায় রওনা হওয়ার সময় দামুড়হুদা মোড়ে যাত্রী হিসেবে এক যুবক ওঠে। সেই যুবক রিনার দশার দশা শুনে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। হাসপাতালে নিয়ে ভর্তিসহ ওয়ার্ডে নেয়ার কাজে সহযোগিতা করে সে। সেবিকরা ওষুধের চিরকুট দিলে, রিনার মায়ের কাছে থাকা ৫শ টাকা ওই যুবকের হাতে তুলে দেয়। সেই যুবক আর ফেরেনি।

যুবক খাতির জমানোর সময় নিজেকে শান্তিপাড়ার সুজন বলে পরিচয় দেয়। অবশ্য সে পুলিশে চাকরি করে বলেও জানায়। চিকিৎসার সম্বল হারিয়ে রিনার মা দিশেহারা হয়ে পড়ে। রিনার পিতা শাজাহান অসুস্থ। রিনার মা প্লাস্টিকের কারখানায় চাকরি করে কেন রকম সংসার চালান। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে রিনা ওই মুক্তারের সাথে মোবাইলফোনে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করে। বিয়ের ৬ মাস ঘুরতে না ঘুরতে নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে, স্বামীর নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে না হতে চিকিৎসার টাকাটাও হারাতে হয়েছে। এদের করুণ দশা শুনে স্থানীয়দের অনেকেই হাহুতাশ করলেও প্রতারকের হদিস মেলেনি।