সোয়া কোটি টাকার সোনা ও মোটর সাইকেলসহ ঝাঁজাডাঙ্গার বাবু আটক

দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুরে বিজিরি বিশেষ দলের চোরাচালান বিরোধী সফল অভিযান

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুরে চোরাচালান বিরোধী সফল অভিযান চালিয়েছে বিজিবি। এ অভিযানে সোয়া এক কোটি টাকার সোনার চালানসহ আটক করা হয়েছে ঝাঁজাডাঙ্গার বাবু নামের এক অভিযুক্ত চোরাকারবারিকে। বাবুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত এক বছরের ব্যবধানে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন এলাকায় ৩ বারে প্রায় ৭ কেজি সোনার চালান উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। গত শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা ৬ বর্ডার গার্ডের পরিচালক লে. কর্নেল আমির মজিদের নেতৃত্বে দামুড়হুদার সুলতানপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার তোতা মিয়া, ব্যাটেলিয়নের নায়েক রাসেল সিকদার সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালান পারকৃষ্ণপুর প্রধান সড়কের ওপর। এ সময় দর্শনা থেকে বাড়াদী সীমান্ত এলাকার পথে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলো ইউনিয়নের ঝাঁজাডাঙ্গা গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে বাবু মিয়া (৩২)। বিজিবি সদস্যরা বাবুর গতিরোধ করে। সন্দেহজনকভাবে বাবুকে আটক করে মোটরসাইকেল ও দেহ তল্লাশি চালায়।

লে. কর্নেল আমির মজিদ জানিয়েছেন, আটককৃত বাবুর দেহ তল্লাশি চালিয়ে অভিনব কৌশলে সেটিং করা অবস্থা ৩টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে বাবুর ব্যবহৃত লাল রঙের ১শ’ সিসি ডিসকভারি মোটরসাইকেল। উদ্ধারকৃত সোনার পরিমাণ ৩ কেজি ১শ ৭৫ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ ২৯ হাজার ২২৩ টাকা।

বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, আটককৃত বাবুকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বেশ কিছু তথ্য বিজিবিকে দিয়েছে। সোনা চালানের সাথে জড়িতদের আটকের স্বার্থে বিজিবি তা গোপন রেখেছে। এ ঘটনায় নায়েক সুবেদার তোতা মিয়া বাদী হয়ে গতকালই আটককৃত বাবুর বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ মোহা. ফকরুল আলম খান বলেছেন, এ মামলা তদন্ত করবেন, থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ইমদাদুল হক। বিজিবি কর্তৃক সোনা চালানসহ আটককৃত বাবুকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সোনা চোরাচালানের হোতাকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।