সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন- না ভোট ও সেনা মোতায়েনের পরামর্শ

স্টাফ রিপোর্টার: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংলাপে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের বেশিরভাগই নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী নিয়েগের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তারা বলেছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ৫ জানুয়ারির মতো একপাক্ষিক নির্বাচন আমরা আর দেখতে চাই না। ঢালাওভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন প্রতিরোধে ‘না’ ভোটের বিধান পুনর্বহাল করতে হবে।

সোমবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সকাল ১১টা থেকে এ সংলাপ শুরু হয়। সংলাপে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া, প্রার্থীদের হলফনামায় দেয়া তথ্য যথাযথভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা, অভিযোগ দ্রুত নিস্পত্তি করা, প্রশাসন ঢেলে সাজানো, মনোনয়ন বাণিজ্য নজরদারিতে রাখা, প্রবাসীদের ভোটার করার সুপারিশও এসেছে সংলাপে। প্রস্তাবও এসেছে নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেয়ার।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আলোচিত এক বক্তব্যেরও সমালোচনা করা হয় সংলাপে। তিনি বলেছিলেন, তফসিল ঘোষণার আগে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চত করার ক্ষেত্রে ইসির কিছু করার নেই। এই বক্তব্যের বিরোধীতা করেন নাগরিক সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি। তবে দুজন সাবেক আমলা সেনাবাহিনী মোতায়েন না করা বা করলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে মোতায়নের পক্ষে নিজেদের মত তুলে ধরেন। না ভোটের পক্ষে বেশিরভাগ মত দিলেও একজন ছিলেন এর বিরোধী। সংলাপ অনুষ্ঠান শেষে  অংশগ্রহণকারীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা জানান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইসি তাদের কোনো বক্তব্য খণ্ডন করার চেষ্টা করেনি। শুধু বক্তব্য শুনেছে।

সংলাপ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ আগামীতে যাদের সঙ্গে বসবো তাদের সুপারিশও একত্রিত করে বই আকারে প্রকাশ করবো। আগামী জানুয়ারি মাসের দিকে তা সরকার ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে।

এই সংলাপে সূধূ সমাজের মোট ৫৯ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত ছিলেন ৩৩ জন। যাঁরা আসতে পারেন নি তাদের কেউ কেউ বিদেশে রয়েছেন। কয়েকজন অসুস্থর কারণে এবং কেউ কেউ নিজেদের কাজের ব্যস্ততার জন্য সংলাপে অংশ নিতে পারেননি। এঁদের মধ্যে সৈয়দ আবুর মকসুদ নির্বাচন কমিশনে তার লিখিত মতামত পাঠিয়ে দেন। সংলাপে আমন্ত্রণ না পেয়েও কমপক্ষে চারজন হাজির হয়েছিলেন। পরে তাদেরকে সংলাপ থেকে বের করে দেয়া হয়।

সংলাপ থেকে বের হয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সাম্মানিক ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, না ভোটের পুনঃবর্তন, নির্বাচনী দায়িত্বপালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা পুনরুদ্ধার করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে বেশির ভাগ প্রতিনিধি ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।

দেবপ্রিয় বলেন, ইসিকে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। ইসির স্বাধীন ভূমিকা মানুষের কাছে দৃশ্যমান করতে হবে এবং তা প্রমাণ করতে হবে। নির্বাচনী আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনেক দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। প্রশাসন কীভাবে নিরপেক্ষ থাকবে এবং তাদের নিরপেক্ষ রাখতে ইসি কীভাবে ভূমিকা রাখবে, এসব দেখতে হবে।

দেবপ্রিয় বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে ইসির করার কিছু নেই-এমন বক্তব্যকে তারা অনেকে গ্রহণ করেননি। এখন থেকে ইসির অনেক কিছু করার সুযোগ আছে। নির্বাচনকালীন-নির্বাচনোত্তর সহিংসতা রোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। নির্বাচনী ব্যয়কে নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও বেশি স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা রাখতে হবে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসির বন্ধু রাজনৈতিক দল নয়। ইসির বন্ধু হল জনগণ, নাগরিক সমাজ, মিডিয়া ও আইন-আদালত।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দীন খান বলেন, সব দলকে ভোটে আনতে হবে এবং এ জন্যে সবার জন্যে সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। এ জন্যে প্রয়োজনে আইনে ঘাটতি থাকলে তার সংস্কার করা দরকার। ইসির উচিত সরকারকে বলা তারা কী করতে চায়। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য তফসিল ঘোষনার আগ থেকেই তাদের কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। যারা অভিবাসী তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য কমিশনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, তিনি ইসিকে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ নিকট অতীতে ইসি নিজস্ব ক্ষমতা প্রয়োগে অনীহা দেখিয়েছে। ইসি যাতে সক্রিয় হয়, এই পরামর্শ অনেকের ছিলো। ইসির সক্ষমতা বাড়ানো, অভিযোগ এলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া, ভয়মুক্ত নির্বাচনের জন্য ভোটার, প্রার্থী, নির্বাচনী কর্মকর্তা, কর্মচারী সবার মাঝে ভয়মুক্ত পরিবেশ অর্জনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে নিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি। হোসেন জিল্লুর মনে করেন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দেয়া জরুরি। সংসদ না ভেঙে দেয়া হলে ৩শ সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাবেন। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা বলেছেন, সহায়ক সরকার এটা রাজনৈতিক বিষয়। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ হওয়া উচিত।

সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ভোটের আগে বিশৃঙ্খলায় ভোটকেন্দ্র বন্ধে প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্ব দিতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের অনেকেগুলো ধারা আছে, তার সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। সেনা মোতায়নের ব্যাপারে সবাই এক্যমত। তবে কোনো প্রক্রিয়া মোতায়ন হবে তা নিয়ে দ্বিমত আছে। ধর্মীয় সভা যাতে নির্বাচনের অপ্রচারে ব্যবহার না হয়-সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। ইসির আন্তরিকতায় যথেষ্ট নয়, সক্ষমতা ও সত সাহস দেখাতে হবে। তিনি নির্বাচনে আইসিটির অপব্যবহার রোধ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. সা’দত হোসেন বলেন, স্বাধীন দেশে সরকার ছাড়া কেউ স্বাধীন নয়। ইসির পজিটিভ কোনো ক্ষমতা নেই। ওসি, ডিসিরা এখন নির্বাচন করে। তাই গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ, স্থাণীয় সরকার ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে ইসির অধীন নিতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে প্রয়োজন তা বাতিল করা। এই ক্ষমতা ইসির রয়েছে। অনিয়ম করলে প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে। এভাবে ৩০-৫০ জনের প্রার্থিতা বাতিল করলে সবাই সোজা হয়ে যাবে।

সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রশাসনে দলীয়করণ যাতে কমানো যায় তার জন্য ইসিকে ক্ষমতা অর্জন ও প্রয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন না করার উপরও পরামর্শ দেন তিনি। একই সাথে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীণ সময়ে বেশকিছু মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীণ আনতে হবে।

অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাধীন হতে হবে। সাহসী হতে হবে। পানামা পেপারসে যে ১১ জনের নাম এসেছে তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। একইভাবে জামায়াতসহ স্বাধীণতা বিরোধীতায় জড়িতদের নির্বাচনে অংশগ্রহন যাতে না করতে পারে সে-বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ বলেন, নির্বাচন হচ্ছে ‘সুপার পলিটিক্যাল ইভেন্ট’। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দলগুলো ফল ঘরে তোলে। তাই শুধু টেকনিক্যাল নয় নির্বাচনকে রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে নিতে হবে। এখনকার সংকট দুর করে নির্বাচনী কৌশলে আসতে হবে। অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ইসির কর্মকর্তা, কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দরকার। প্রশিক্ষণ থাকলে ৭৫ শতাংশ অনিয়ম দূর করা সম্ভব।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সবার জন্য নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত না করতে পারলে আইন ভঙ্গের জন্য নির্বাচন কমিশন জাতির কাছে দায়ী থাকবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত অলিউর রহমান বলেন, আলোচনায় মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেছে তত্ত্বাধায়ক সরকার আনা হোক; আমরা বলছি-এটা আনা সম্ভব না, এটা ডেড ইস্যু। আর্মি নিয়ে আসার কথা বলা হচ্ছে-আমরা বলেছি তাদের ম্যাজিস্ট্রেশিয়াল পাওয়ার দেয়া ঠিক হবে না, আর্মিকে ভোটে আনার দরকার নাই। পার্লামেন্টে ভেঙ্গে দেয়ার কথা তুলেছে, আমরা বলেছি ভেঙে দেয়া যাবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ইসিকে তার ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে হবে, ইসির ভাবমূর্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। কমিশনকে সক্রিয় হতে হবে। সব দলকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে হবে। প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট ও ভোটারের মনে যে ভয়ভীতি রয়েছে তা দুর করতে হবে- এটা নিয়ে কারো দ্বিমত ছিলো না। দুজন সাবেক আমলা ছাড়া প্রায় সবাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সজ্ঞায় সেনাবাহিনী অন্তর্ভূক্তের কথা বলেছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, দোষারোপের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক টিম নিয়োগ করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনা মোতায়নের বিকল্প নেই। সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করার প্রস্তাব করেন তিনি।

সংলাপে অন্যান্যর মধ্যে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন, অধ্যাপক ড. তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া এ রহমান, ড. অজয় রায়, অধ্যাপক এম এম আকাশ, নিজেরা করির খুশি কবির, সঞ্জীব দ্রং, আবুল হোসেন চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গোলাম হোসেন, মুহাম্মদ আবুল কাশেম, জহুরুল আলম, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল, মুভ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাইফুল হক, সেড’র নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ গায়েন, ব্রতি’র সিইও শারমিন মুরশীদ এবং প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান।

সরকারের সাথে সমঝোতা করেই নির্বাচন : সিইসি: সব পক্ষের সাথে আলোচনা থেকে উঠে আসা পরামর্শের ভিত্তিতে প্রয়োজনে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেই সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। সোমবার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপ শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। ধারবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে বলে জানান সিইসি।

তিনি বলেন, আমাদের ধারাবাহিক আলোচনা হবে। সবার বক্তব্য শুনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন করব। সেখান থেকে যেসব উপাদান. সরকারের সাথে সমঝোতা করা প্রয়োজন সেগুলো আমরা সরকারের সাথে সমঝোতা করে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের কী কী পদক্ষেপ নেয়া যায় চিন্তা করব।

সিইসি বলেন, তাদেরকে আমরা আশ্বস্ত করেছি-আইনের আলোকে নির্বাচন পরিচালনার যে ক্ষমতা ইসির সাংবিধানিকভাবে রয়েছে তা পরিপূর্ণভাবে করা হবে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা সবচেয়ে বেশি পরামর্শ দিয়েছেন কমিশনকে ‘সাহসিকতার’ সাথে কাজ করার জন্য, তাগিদ দিয়েছেন জনগণের আস্থা অর্জনের।