সীমান্ত এক্সপ্রেসে অজ্ঞানপার্টির অপতৎপরতা : অজ্ঞান ৪ কিশোরকে নামানো হলো চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে

স্টাফ রিপোর্টার: সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা সীমান্ত এক্সপ্রেসের কিশোর ৪ যাত্রীকে অজ্ঞান করে ব্যাগ, টাকা ও মোবাইলফোন হাতিয়ে নিয়ে সটকেছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা। অজ্ঞান ৪ কিশোরকে গতরাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে নামানো হয়। এদের মধ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা আসমানাখালীর এক দোকানি। তার নাম রিংকু।

‌                জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও থেকে ৩ কিশোর ফিরছিলো ঈশ্বরদী। এরা সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা সীমান্ত এক্সপ্রেসে ওঠে। লালমনিরহাট থেকে বাড়ি চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার আসমানখালী ফিরছিলো রিংকু, তার মা ও এক ভাইসহ বোন। রিংকুসহ ৪ কিশোর পাশাপাশি বসে ফিরছিলো। পথিমধ্যে অজ্ঞানপার্টির এক সদস্য এদের সাথে খাতির জমায়। কয়েকটি প্রশ্ন করে বলে, এসব প্রশ্নের জবাব দিতে পারলে তোমাদের খাওয়ানো হবে। ঠাকুরগাঁও থেকে ঈশ্বরদীর উদ্দেশে রওনা হওয়া তিন কিশোরই ১০ম শ্রেণির ছাত্র। ওরা প্রশ্নের জবাব দেয়। প্রতারক সুযোগ বুঝে প্রথমে চকলেট ও পরে জুস দেয়। তিন কিশোরের পাশে বসা কিশোর রিংকুকেও খেতে দেয়া হয় চকলেট জুস। কিছুক্ষণ পরই ৪ জন ঢুলু ঢুল হয়ে ঝিমুতে থাকে। ওই বগির এক নিরাপত্তাকর্মী বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত তিন কিশোরের একজনের পিতার মোবাইলফোন নম্বর জেনে নিয়ে খবর দেন। এর আগেই নিকট থেকে মোবাইলফোন ও নগদ কিছু টাকাসহ ব্যাগব্যাগেজ নিয়ে চম্পট দেয় প্রতারক।

ট্রেনটি রাত ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে থামে। ৪ কিশোরকেই নামানো হয়। ঠাকুরগাঁওয়ের তিন কিশোরকে জিআরপি উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। রিংকুকে হাসপাতালে নেয় তার সাথে থাকা মা ও ভাই। রিংকু ছাড়া অপর তিন কিশোরের মধ্যে এক কিশোর অল্প অল্প কথা বলতে পারায় ঘটনার বর্ণনা জানা গেছে। তাদের ঠিকানায় খবরও দেয়া সম্ভব হয়েছে। তিন কিশোর হলো- ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডপাড়ার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মিঠু হোসেন, কলোনিপাড়ার জলিলের ছেলে সেলিম ও ঈশ্বরদীর আবুল কালাম আজাদের ছেলে শুভ। শুভ তার নানাবাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে থেকে লেখাপড়া করে। সে তার দু বন্ধুকে নিয়ে ঈশ্বরদী বেড়াতে আসার পথে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে।